প্রকাশ: সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:১৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ স্টেডিয়ামে শুরুতে বিনা উইকেটে সংগ্রহ ৫৩ রান। এরপর ৭২ রানে নেই ৪ উইকেট। চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন মাহমুদউল্লাহ।
এই দুই ব্যাটারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শক্ত পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা। আফগানদের ২৪৫ রানের টার্গেট দিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
সোমবার (১১ নভেম্বর) টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মিরাজ। ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও সৌম্য সরকার। মাঝে দুইবার জীবন পান তানজিদ তামিম।
তবে একপ্রান্তে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন সৌম্য। আফগান বোলারদের ওপর চড়াও হন তিনি। ৫০ রানের জুটি গড়েন এই দুই টাইগার ওপেনার। কিন্তু দলীয় ৫৩ রানে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২৩ বলে ২৪ রান করে আউট হন সৌম্য। আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
সৌম্যের বিদায়ের পর সাজঘরের পথ ধরেন তানজিদ তামিম। মোহাম্মদ নবির বলে হাশমতুল্লাহ শাহীদির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ২৯ বলে ১৯ রান করেন এই ওপেনার। আর ৭ বলে ৪ রান করে রান আউটের শিকার হন জাকির হাসান। এরপর তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামত করার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে দলীয় ৭২ রানে ফের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৪ বলে ৭ রান করে আউট হন হৃদয়।
ক্রিজে আসা মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মিরাজ। দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৬৩ বলে ফিফটি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। তার পর পরই ১০৬ বলে ফিফটির দেখা পান মিরাজও।
আফগান বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মিরাজ-মাহমুদউল্লাহ। ১৪৫ রানের জুটি গড়েন তারা। দলীয় ২১৭ রানে ভাঙে জুটি। ১১৯ বলে ৬৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মিরাজ। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেননি জাকের আলি অনিক। ২ বলে ১ রান করে আউট হন তিনি। ৫ রান করে ফিরে যান নাসুম আহমেদও।
তবে একপ্রান্তে আগলে একাই লড়াই চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ৯৮ বলে ৯৮ রানে আউট হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের পক্ষে নাভিন উল হক নেন ৪টি উইকেট।