নেক আমল করলে সহজে মানুষ আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সমর্থ হবে। কোরআন এবং হাদিসে অগণিত তাসবিহ ও দোয়া বর্ণিত হয়েছে। সকাল-সন্ধ্যার কিছু আমল ও জিকির আছে। যেগুলো করলে আল্লাহ সারা দিন বা সারা রাত নিরাপদে রাখেন। পুরো সময় কল্যাণকর ও বরকতময় করেন।
আমলগুলো সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো-
শাদ্দাদ বিন আওস (রা.) নবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার (শ্রেষ্ঠ ইস্তিগফার) হলো- ‘আল্লা-হুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খলাক্বতানি ওয়া আনা আব্দুকা, ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাস্তাত্বাতু। আউযু বিকা মিন শাররি মা সানাতু, আবুউ লাকা বিনিমাতিকা আলাইয়্যা, ওয়া আবুউ বিযাম্বী। ফাগফির লি, ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমার রব্ব, আপনি ছাড়া সত্য কোনো উপাস্য নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনার বান্দা। আমি আমার সাধ্যমতো আপনার (তাওহিদের) অঙ্গীকার ও (জান্নাতের) প্রতিশ্রুতির ওপর রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় চাই। আপনি আমাকে যে নিয়ামত দিয়েছেন আমি তা স্বীকার করছি এবং আমার অপরাধও স্বীকার করছি। অতএব, আপনি আমাকে মাফ করে দিন। নিশ্চয়ই আপনি ছাড়া পাপরাশি ক্ষমা করার কেউ নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি দিনের বেলায় বিশ্বাসের সঙ্গে এ বাক্যগুলো বলবে এবং সেদিন সন্ধ্যার আগে যদি সে মারা যায়- তাহলে সে ব্যক্তি জান্নাতের অধিবাসী হবে। আর যে ব্যক্তি রাতের বেলায় এ বাক্যগুলো বলবে এবং সকাল হওয়ার আগে মারা যাবে- সে ব্যক্তিও জান্নাতের অধিবাসী হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৩০৬)
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে একশবার ও সন্ধ্যায় একশবার ‘সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহি’ পড়বে, কিয়ামতের দিন তার চেয়ে উৎকৃষ্ট কিছু কেউ নিয়ে আসতে পারবে না। তবে সে ব্যক্তি ছাড়া- যে তার মতো বলবে বা তার চেয়ে বেশি আমল করবে।’ (মুসলিম, হাদিস ২৬৯২)
আবদুল্লাহ্ বিন খুবাইব (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, নবী (সা.) তাকে বলেছেন, ‘তুমি যখন সন্ধ্যায় উপনীত হবে কিংবা সকালে উপনীত হবে তখন তুমি ‘ক্বুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ (সুরা ইখলাস) ও মুআওয়িযাতাইন (সুরা ফালাক ও সুরা নাস) ৩ বার পড়বে। এটি তোমাকে সব কিছু থেকে রক্ষা করবে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৭৫; আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৮২)
উসমান বিন আফ্ফান (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি সন্ধ্যাবেলা তিনবার বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদ্বুররু মাআ ইসমিহি শাইউন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিস্ সামা-ই, ওয়াহুয়াস্ সামিউল আলিম পড়বে, সেই ব্যক্তি সকাল পর্যন্ত কোনো আচমকা বিপদে আক্রান্ত হবে না। যে ব্যক্তি সকাল বেলা এ বাণীগুলো তিনবার পড়বে সন্ধ্যা হওয়া পর্যন্ত সে ব্যক্তি কোনো আচমকা বিপদে আক্রান্ত হবেন না। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৮৮)
অর্থ : আল্লাহর নামে (সকল অনিষ্ট থেকে সাহায্য চাই), যার নামের (স্মরণের) সাথে আসমান ও জমিনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।