প্রকাশ: রোববার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪, ২:৪৮ পিএম আপডেট: ১০.১১.২০২৪ ২:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে রাজধানীর গুলিস্তানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা গণজমায়েত কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে প্রধান সড়কের সামনে তৈরি গণপ্রতিরোধ মঞ্চে তাদের গণজমায়েত কর্মসূচি শুরু হয়।
গণজমায়েত কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমসহ অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত রয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের সমন্বয়করা বক্তব্য রাখছেন এতে।
সমাবেশে শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী বলেন, আমি সমস্ত যুবসমাজকে বলবো, আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। আমরা সবাই ভাই ভাই হয়ে থাকি। এদেশে ভারতীয় দালালদের ঠাঁই হবে না, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ঠাঁই হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোকে বলবো, নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের জন্য আপনারা ঝগড়া করবেন না। যে ছাত্র সমাজ হাসিনার গুলির সামনে জীবন দিয়েছে, তাদের অসন্মান করবেন না। আমরা চাই ২৪ এর বিপ্লবকে আরও সুসংগঠিত করতে। সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা শত্রুকে অবহেলা করবো না। আজ গুলিস্তানে নামলে কাল বিভাগীয় পর্যায়ে ফ্যাসিবাদ নামবে, কাল বিভাগীয় শহর, পরশু জেলা শহরে তারা নামবে। তাই আমরা তাদের সেই সুযোগ দেবো না।
এর আগে সকাল থেকেই গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে আসতে শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। গুলিস্তান থেকে স্টেডিয়াম যাওয়ার রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন তারা।
এর আগে গতকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) আওয়ামী লীগ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে রোববার গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের নূর হোসেন চত্বরে নেতাকর্মীদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানায়। পোস্টে আরও বলা হয়, শহীদ নূর হোসেনের স্মরণে ও ‘অগণতান্ত্রিক শক্তির অপসারণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার’ দাবিতে রোববার বিকেল ৩টায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।
আওয়ামী লীগের এমন ঘোষণার পর একই স্থানে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটি তাদের ফেসবুক পেজে জানায়, ‘পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে’ রোববার দুপুর ১২টায় জিরো পয়েন্টে গণজমায়েত করবে তারা। যদিও শনিবার রাতেই জিরো পয়েন্টে সমাবেত হতে শুরু করে ছাত্র-জনতা। আওয়ামী লীগের কার্যালয়ও পাহারা দিচ্ছেন তারা।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই দলটির ওই কর্মসূচির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে গতকাল ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও এক ফেসবুক পোস্টে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে রাজপথে কোনো মিছিল-সমাবেশ বা কর্মসূচি পালন করতে না দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
আরও পড়ুন