মিডিয়ার নানা কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। যদিও কাজের বাইরেও তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা আলোচনা হয়। প্রায় অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে জনপ্রিয় ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে প্রেম করছেন দীঘি। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন তিনি। তার সঙ্গে আফ্রিদির প্রেমের গুঞ্জন নতুন কিছু নয়। প্রায় সময়ই তাদের নিয়ে চর্চা হয় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।
দীঘি এখন আর শিশুশিল্পী নেই। দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়েছেন তিনি। ‘তুমি আছো তুমি নেই’ সিনেমার মাধ্যমে ২০২১ সালে নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার। এরপর তিনি ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই’ ও ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাগুলোয় অভিনয় করেন। সবশেষ সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’-এর মাধ্যমে আবার বড় পর্দায় আসেন দীঘি।
দেশের প্রেক্ষাগৃহে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে চরকি প্রযোজিত ‘৩৬ ২৪ ৩৬’ ছবিটি। ছবিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রার্থনা ফারদীন দীঘি। এই তারকার মতে, ছবিটিতে তার ঘরানার বাইরের একটি চরিত্রে অভিনয়ের চেষ্টা করেছেন। নতুন কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এরই মধ্যে একটি সংগঠন থেকে সম্প্রতি ‘বেস্ট ইন্সপায়ারিং অ্যাক্টর’ পুরস্কারও পেয়েছেন।
দীঘির সঙ্গে জনপ্রিয় ইউটিউবার তৌহিদ আফ্রিদির প্রেম-গুঞ্জন বহু দিন ধরেই শোবিজ অঙ্গণের মুখরোচক আলোচনার বিষয়। এ গুঞ্জন নিয়ে আফ্রিদি-দীঘির দুজনেই সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন একাধিকবার। কিন্তু তাতে চর্চা থামেনি। তাই তো এখনো ওই গুঞ্জন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় দীঘি ও তৌহিদ আফ্রিদিকে। সেই ধারাবাহিকতায় সদ্য দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারেও আফ্রিদির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে জানতে চাওয়া হয় দীঘির কাছে। কী জবাব দিলেন নায়িকা?
ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে বেশ আলোচিত তৌহিদ আফ্রিদি। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবে রয়েছে তার লাখ লাখ অনুসারী। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর থেকেই সরব তৌহিদ আফ্রিদি কিছুটা নীরব আছেন। তাই অনেকের মনে প্রশ্ন ছিল, আফ্রিদির সঙ্গে দীঘির সম্পর্ক কিংবা যোগাযোগ কি এখনো আছে? দীঘিও অকপটে জানালেন, বন্ধুত্ব একটা সময় থাকবে আর অন্য সময় থাকবে না, বিষয়টা তো তেমন না।
দীঘি বলেন, ‘তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে এখনো ভালো বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের কোনো সময় থাকে না, বিষয়টা এমন না যে এখন বন্ধুত্ব আছে, পরে বন্ধুত্ব থাকবে না। সব সময় সে আমার বন্ধু। একজন ভালো বন্ধু। আমাদের মিডিয়ায় বন্ধুত্ব নিয়ে অনেক বেশি কথা হয়েই থাকে। এটা অনেকটা মনগড়া কথাও। সব মিলিয়ে আমি বলব, আফ্রিদি সব সময় ভালো বন্ধু ছিল, আছে, থাকবে।’
‘বেস্ট ইন্সপায়ারিং অ্যাক্টর’ পুরস্কার প্রাপ্তি প্রসঙ্গেও কথা বলেন দীঘি। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, সবাইকে কতটা অনুপ্রাণিত করতে পারি। তারপরও আমার কাজ দিয়ে চেষ্টা থাকে। তবে আসলে পুরস্কারটা আমার কাছে অনেক বেশি অনুপ্রেরণার। পুরস্কার পেতে ভালো লাগে। প্রতিটি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যখন আমার নাম ঘোষণা করা হয়, তখন খুব ভালো লাগে।’
কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে তারকাদের নিয়ে সমালোচনার বিষয়ও। এ বিষয়ে দীঘি বলেন, ‘যে তারকা নিয়ে আলোচনা হয়, তাকে নিয়ে সমালোচনা হবেই। এ জিনিসটা আমি কখনো গায়ে মাখাই না। একটা সময় যখন নতুন ছিলাম, তখন এসব গায়ে লাগত। মন খারাপ হতো। এখন এসব সয়ে গেছে। মোটেও এসবে বিচলিত হই না। আমি মনে করি, আমাকে কাজ করে যেতে হবে, আমিও তাই কাজে মনোযোগী। আর যারা অকারণে সমালোচনা করে, তারা করেই যাবে।’