প্রকাশ: শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:৪৫ এএম আপডেট: ০৯.১১.২০২৪ ১২:১৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রূপায়ণ সিটিতে আয়োজন করা হয়েছে স্বনামধন্য ফ্যাশন ডিজাইনার চামান চৌধুরীর একক পোশাক প্রদর্শনী। গতকাল শুক্রবার বিকেলে রূপায়ণ স্কাই ভিলা লাউঞ্জে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী এ ‘ডিজাইনার্স ফেস্ট’। ১০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী। এ ছাড়া শেষ দিনে রয়েছে গালা ফ্যাশন নাইট।
বাংলাদেশের সোনালি আঁশ পাট দিয়ে পোশাক তৈরিতে অসামান্য অবদানের জন্য সম্প্রতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন ফ্যাশন ডিজাইনার চামান চৌধুরী। জানুয়ারির শেষের দিকে স্বপ্নীল ফাউন্ডেশনের পঞ্চম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে পাট দিয়ে তৈরি পোশাকের র্যাম্প শো করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
এ প্রদর্শনীতে মণিপুরীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের পাশাপাশি রয়েছে জামদানি ও পাট দিয়ে তৈরি পোশাক। বরাবরের মতোই চামান চৌধুরীর প্রতিটি পোশাকে রয়েছে জামদানির সমৃদ্ধ কম্বিনেশন। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের পোশাকে রয়েছে ওয়েস্টার্ন-বাঙালি ফিউশন। চামান চৌধুরীর তৈরি পোশাকের কথা মাথায় রেখেই আগামী ১০ নভেম্বর প্রদর্শনীতে বিশেষায়িত কিছু ফ্যাশন জুয়েলারি প্রদর্শন করা হবে।
এ সম্পর্কে ফ্যাশন ডিরেক্টর রাকিব বাবু বলেন, ‘রূপায়ণ সিটি উত্তরায় আজ থেকে শুরু হয়েছে ডিজাইনার্স ফেস্ট। এখানে স্বনামধন্য ফ্যাশন ডিজাইনার চামান চৌধুরী তার পোশাকের প্রদর্শনী করছেন। এ ছাড়া কিছু ফ্যাশন জুয়েলারি রাখা হয়েছে, যেগুলো আগামী ১০ তারিখে প্রদর্শন করা হবে। রূপায়ণ সিটির বাসিন্দা ও গ্রাহকদের কথা চিন্তা করেই আমাদের এ আয়োজন। আমাদের এতো সুন্দর একটি সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য রূপায়ণ সিটি কর্তৃপক্ষকে জানাই আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।’
ডিজাইনার চামান চৌধুরী বলেন, ‘এ আয়োজনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা বাড়াতে ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে পোশাকে পাটের ব্যবহার অন্যতম উপায় হতে পারে। এর ফলে তাঁতের সঙ্গে জড়িত শিল্পীরাও উপকৃত হবেন। আমি দেশ-বিদেশে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু আমার মনে তৃপ্তি এনে দেবে, যদি কাজটিকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে পারি। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দেশের ঐতিহ্য ধরে রাখতে জামদানি ও পাট দিয়ে পোশাক তৈরির কাজ করছি। নিজের চোখে দেখেছি, পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তাঁতীরা তাদের অসামান্য মেধা কাজে লাগাতে পারছেন না। এখনই কোনো উদ্যোগ না নিলে এটি আমাদের ঐতিহ্যের জন্য হবে অত্যন্ত নেতিবাচক।’
রূপায়ণ গ্রুপের পরিচালক (মার্কেটিং) অমিত চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘দেশের প্রথম প্রিমিয়াম মেগা গেইটেড কমিউনিটি এখন মুখরিত সিটিবাসীর পদচারণায়। আর তাদের কথা মাথায় রেখেই সর্বদা নানামুখী আয়োজন নিয়ে সচেষ্ট রূপায়ণ সিটি। আমরা আছি আধুনিক জীবনের সব অভিজাত অনুষঙ্গকে সাথে নিয়ে। তিনস্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতরে গেটেড কমিউনিটির সবাই বসবাস করছে।’
রূপায়ণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা সফলভাবে আমাদের প্রিমিয়াম কন্ডো, মাজেস্টিক ও গ্রান্ড হ্যান্ডওভার করেছি এবং বর্তমানে এখানে দুই হাজারেরও অধিক মানুষ বসবাস করছে। আমরা সচেতনতার সঙ্গে দেশীয় সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে এক আন্তরিকতার ও সমমনা মানুষের প্রিমিয়াম কমিউনিটি গড়ে তুলেছি, আপনার ও আপনার পারিবারিক জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করতে। আমরা সর্বদা আমাদের গ্রাহকদের সর্বোত্তম জীবনযাপনের নিশ্চয়তার জন্য আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে চলেছি।’