২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে পরিচালিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশের ৫৫ শতাংশ তরুণ মাতৃভূমিতে থাকতে চাচ্ছেন না। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও চাকরির প্রয়োজনে অন্য দেশে চলে যেতে চান তারা।
এক্ষেত্রে তারা সৌদি আরব, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশকে বেছে নিতে চান।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘নেক্সট জেনারেশন বাংলাদেশ’-এর তৃতীয় সিরিজের গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
২০২৩ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তিন হাজার ৮১ জন তরুণের সাক্ষাৎকার নিয়ে এই গবেষণা করা হয়। বুধবার (৬ নভেম্বর) প্রতিবেদনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ করা হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দেশ নিয়ে গর্ব বোধ করা কিংবা দেশ নিয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠার প্রবণতা বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্রমেই কমছে। ’
প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৫ সালের তুলনায় এখন (গবেষণার সময় অর্থাৎ ২০২৩ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর) দেশকে সঠিক পথে এগোচ্ছে মনে করা তরুণদের সংখ্যা কমে ৫১ শতাংশ হয়ে গেছে, যেখানে ২০১৫ সালে ছিল ৬০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বেকারত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ৪২ শতাংশ তরুণ। এই তরুণদের ৬৯ শতাংশ সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। শিক্ষা, চাকরি ও প্রশিক্ষণ না থাকার বিষয়টি নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। দেশের বিপুল এই জনশক্তি কোথাও কাজে লাগাতে না পারায় ৩২ শতাংশ তরুণ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশে পর্যাপ্ত চাকরির ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়।
শিক্ষাগ্রহণ ও চাকরির প্রয়োজনে বিদেশে যেতে চান ৫৫ শতাংশ তরুণ। এর মধ্যে সৌদি আরবে ২৭ শতাংশ, কানাডায় ১৮ শতাংশ এবং অস্ট্রেলিয়ায় যেতে চান ১৩ শতাংশ। বিশ্বের অন্য দেশগুলোর কোনোটিতে ১ শতাংশ আবার কোনোটিতে ২ শতাংশ তরুণ যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তরুণদের দেওয়া মতামত থেকে আরও জানা গেছে, শিক্ষা ও দক্ষতায় পিছিয়ে থাকা সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যেতে চান সৌদি আরব। আর শিক্ষা অর্জনে তরুণদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া।