প্রকাশ: বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪, ২:৩৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, মোংলা বন্দরে কনটেইনার টার্মিনাল নেই। এখানে কনটেইনার টার্মিনাল হলে চট্টগ্রামের ওপর চাপ কমবে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে বন্দরের জেটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভুটান-নেপালের জন্য মোংলা বন্দর উপযোগী। এখানে সড়ক, নৌ ও রেলপথ বিদ্যমান রয়েছে। মোংলা বন্দরকে ঘিরে আখাউড়া ও বাল্লা স্থলবন্দর সচল করা হচ্ছে। ভারতের অর্থায়নেও মোংলা বন্দরের উন্নয়ন করা হবে। চীন ও ভারতের উন্নয়ন প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন হলে বন্দরের চেহারা পরিবর্তিত হবে।
তিনি আরও বলেন,এখানে কন্টেইনার টার্মিনাল নেই। চায়না ও ভারতের অর্থায়নে জি টু জি’র আওতায় মোংলা বন্দরের সাথে হওয়া চুক্তি বাস্তবায়ন এবং প্রকল্পের কাজ শেষ হলে আগামী ২ বছরের মধ্যে এই বন্দরের দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। একই সাথে প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে কন্টেইনার টার্মিনাল ও ইয়ার্ডসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে।
ফলে চট্রগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ কমবে এবং মানসম্মত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ভারত, নেপাল ও ভুটানের জন্য এই বন্দরটি ব্যবহারের উপযোগী হবে বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা এসময় খুলনা ও যশোরের বন্ধ ৫টি পাটকল চালুর জন্য চায়না ও দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ইজারা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান, সদস্য (অর্থ) কাজী আবেদ হোসেন, সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) ড. এ. কে. এম. আনিসুর রহমান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কিবরিয়া হক, বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগের উপ সচিব মোঃমাকরুজ্জামান প্রমুখ।
এরআগে তিনি মোংলা বন্দরের কনফারেন্স রুমে বন্দরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সভা করা করেন এবং মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের বিভিন্ন স্পট ছাড়াও VTMIS (মোংলা), ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এরিয়া ও স্থায়ী বন্দর জেটি এলাকা পরিদর্শন করেন।