প্রকাশ: রোববার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারতের আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের কাছে ৭০০ মিলিয়ন ডলার পায় জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, তাদের পেমেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে গতি বাড়িয়েছি। গত মাসেও ৯ দশমিক সাত মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগের যে বিল বাকি আছে সেটার জন্য মূলত দায়ী আওয়ামী লীগ সরকার। তারা বিশাল ফাইল অব বেকলট রেখে গিয়েছিল।
রোববার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে রেমিট্যান্সের গতি বেড়েছে। ফলে এখন সেন্ট্রাল রিজার্ভে হাত না দিয়েই আন্তর্জাতিক পেমেন্টগুলো করতে পারছি। ভারতের আদানি গ্রুপের বকেয়া পেমেন্ট দেওয়ার গতি বেড়েছে। সামনে আরও বাড়বে। সেই সক্ষমতা সরকারের আছে।
তিনি জানান, আদানি গ্রুপকে গত মাসে ৯ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার পেমেন্ট করা হয়েছে। যেটা আগস্ট বা আগের মাসের চেয়ে দ্বিগুণ। আমাদের তরফ থেকে সর্বোচ্চ পেমেন্ট আরও দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আমরা কারো দ্বারা পাওয়ার হোস্টেজ (জ্বালানি নির্ভরতা) হবো না উল্লেখ করে নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার কথাও জানান প্রেস সচিব।
এসময় মানি লন্ডারিং রোধে আইএমএফ ও এফবিআইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, অর্থ কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় সে ব্যাপারে কথা হয়েছে। তবে এটা কঠিন কাজ।
এদিকে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাত নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করা হলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে আদানি পাওয়ার।
এ ব্যাপারে প্রেস সচিব বলেন, আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে চিঠি আসেনি। যদি এটা সত্যি হয়, তাহলে এটা আমরা শকড।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার জানিয়েছে, এর আগে বকেয়া পরিশোধ না করায় বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয় আদানি গ্রুপ। গত বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির ঝাড়খণ্ডের গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দিনে গড়ে মাত্র ৫৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়েছে বাংলাদেশ। যদিও গত বুধবার পর্যন্ত গড়ে এক হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো।