প্রকাশ: রোববার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:০০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মকর্তা মোস্তফা তারেক ইকবালের আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার চার সাংবাদিককে দুই দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসমাইল হোসেন এ আদেশ দেন।
আদালতের জিআরও (জেনারেল রেজিস্ট্রার অফিসার) ও কোর্ট পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আকবর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযুক্তদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এতে আদালত দুই দিনের জন্য অভিযুক্তদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন ইত্তেফাকের প্রতিনিধি জাকির হোসেন মোস্তান, যায় যায় দিনের বেলায়েত হোসেন, সমকালের জাকির হোসেন ও মানবকণ্ঠের শাখাওয়াত হোসেন। তারা রামগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি।
এদিকে রামগঞ্জ প্রেস ক্লাবের জ্যেষ্ঠ চার সাংবাদিকের মুক্তি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। রামগঞ্জ উপজেলা কর্মরত সাংবাদিকরা ওই সভা করেন।
সভায় রামগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু তাহেরসহ সাংবাদিকরা জানান, ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তথ্য সংগ্রহের জন্য রামগঞ্জ পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে যান চার সাংবাদিক। ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক বিবি রাহিমা প্রশিক্ষণে থাকায় ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে ছিলেন ইকবাল। তবে তিনি কোনো তথ্য না দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করেন। সাংবাদিকরা তথ্য না পেয়ে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ভিডিওচিত্র ধারণ করে চলে আসেন। পরে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে ইকবাল আত্মহত্যা করেন।
আত্মহত্যার পেছনের প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে জোরালো দাবি জানিয়েছেন তারা।
বাদীর আইনজীবী হাছিবুর রহমান বলেন, আমরা অভিযুক্তদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলাম। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ২৭ অক্টোবর রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিলে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার মোস্তফা তারেক ইকবালের মৃত্যু হয়। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঞ্চানগর এলাকার মোস্তফা কামালের ছেলে। এদিকে মোস্তফার মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে সোমবার ২৮ অক্টোবর তার স্ত্রী শারমিন আক্তার রিমু বাদী হয়ে চার সাংবাদিকের নামে মামলা করেন। ঘটনার দিন বিকেলেই পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করে। পরে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।