বাংলাদেশের ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্পে আস্থার নাম কক্সটুডে বা ডি’ মোর। দীর্ঘদিন ধরে পাঁচ তারকা ও তিন তারকা মানের সেবা দিয়ে আসছে এ হোটেলগুলো। তাই কক্সবাজার, শ্রীমঙ্গল, সাজেক, বান্দরবান ও কুয়াকাটা ঘুরতে গেলে ভ্রমণপিপাসুরা বেছে নেন কক্সটুডে ও ডি’ মোরকে।
কক্সটুডে ও ডি'মোর এর পরিচালক মহিউদ্দিন খান খোকন (সেলস অ্যান্ড মাকেটিং) বলেছেন, আমরাই বাংলাদেশে প্রথম পর্যটন নগরীগুলোতে তিন তারকা ও পাঁচ তারকা মানের চেইন হোটেল শুরু করেছি। ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে যেতে চাইলে যেতে পারেন পাহাড়ের সৌন্দর্যের সাজেক ও বান্দরবানে তিন তারকা ডি'মোর। চায়ের দেশ শ্রীমঙ্গলে রিসোর্টে পাবেন সাধ্যের মধ্যে সব সুবিধা। এগুলো মানে ডি'মোর মূলত কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী ফাইভ স্টার হোটেল কক্সটুডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। সদ্য যাত্রা শুরু করা এই সব তিন তারকা হোটেল গুলোতে চলছে বিশেষ ছাড়। বিশেষ করে ডি মোর কুয়াকাটার ১ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে থাকছে নানা আয়োজন ও দর্শনার্থীদের জন্য আছে বিশেষ ছাড়।
মহিউদ্দিন খান খোকন জানান, চাইলে দিতে পারবেন অগ্রিম রুম বুকিং। কক্সটুডে শুধু কক্সবাজারে নয়, বাংলাদেশের মধ্যেই অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ফাইভ স্টার তারকা হোটেল আর আমাদের ডি'মোর বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করে নিয়েছে সেবার মাধ্যমে। কক্সবাজারের কক্সটুডে যেমন আমরা আমাদের গেস্টদের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে কোনো আপস করি না,আমাদের ডি'মোর চেইনগুলোতে ও ঠিক তেমনই সুবিধা থাকে।
তিনি বলেন, কক্সবাজারকে বলা হয় দেশের পর্যটন রাজধানী ও কুয়াকাটাকে বলা হয় সাগরকন্যা। পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকত কক্সবাজার। যতই মন খারাপ থাকুক, সাগরের বিশালতার সামনে দাঁড়ালে নিমিষেই মন ভালো হয়ে যায়। কিন্তু ভ্রমণের জায়গাটি হতে হবে নিরাপদ, ঝামেলামুক্ত। এজন্যই কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় আছে ঐতিহ্যবাহী পাঁচ তারকা হোটেল কক্সটুডে ও ডি'মোর কুয়াকাটা। সারি সারি ঝাউবন, বালুর নরম বিছানা, বিশাল সমুদ্র। কক্সবাজার ও কুয়াকাটা গেলে সকালে-বিকেলে সমুদ্রতীরে বেড়াতে মন চাইবে। সাগরের বিশালতার টানেই হোক কিংবা অবকাশ যাপন, সব সময় মুখর থাকে পর্যটকদের অভিবাদন জানাতে জেলা ২টি। বিপুল পর্যটকদের রাত্রিযাপন নিশ্চিত করতে সমুদ্রসৈকতের কাছে তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট এবং কটেজ। কিন্তু সবগুলোতে নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। নেই নিরাপত্তা। অনেক সময় ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকরা রুম পান না। অনেক হোটেলে আছে নানা সমস্যা। কিন্তু হোটেল কক্সটুডে ও ডি’মোর কুয়াকাটা এসব দিক থেকে ব্যতিক্রম ও ঐতিহ্যবাহী। দীর্ঘদিন যাবত একইরকমভাবে গ্রাহকদের পাঁচ তারকা ও তিনতারকা মানের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে। কক্সবাজারে অন্যতম প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই হোটেলে নিরাপত্তা, সার্ভিস সুবিধা, কাস্টমারকে সন্তুষ্ট করতে তাদের আছে নানা ব্যবস্থা। এমনকি, রয়েছে নিজস্ব প্রাইভেট বিচ। সেখানে থাকতে দুই রাত, দুই দিনের একোমোডেশন, ব্রেকফাস্টসহ নানা সময়ে থাকে অসাধারণ প্যাকেজ।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের গেস্টদের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে কোন আপস করি না। আমাদের প্রতিটি ইউনিট শতভাগ কর্পোরেট, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও আন্তরিক। আমাদের সকল সুযোগ-সুবিধার মধ্যে অন্যতম ওয়েলকাম ড্রিংকস, ব্রেকফাস্ট (বুফে), এসি ও গিজার ফ্যাসিলিটি, আনলিমিটেড ওয়াই-ফাই, ইনরুম মিনারেল ওয়াটার, কফি-চা, সুবিশাল সুইমিং পুল, জাকুজি, বাগান, রাতে পুলসাইড লাইভ মিউজিক ও বারবিকিউ, মজাদার খাবার, ২৪ ঘণ্টা রুম সার্ভিস এবং অন্যান্য সুবিধা। প্রশিক্ষিত নিরাপত্তাকর্মী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা, পার্কিং সুবিধা, রেস্টুরেন্ট সার্ভিস এবং রুম সার্ভিসসহ অন্যান্য সুবিধা।