দেশে ফুটবলে যত সাফল্য তার প্রায় অধিকাংশই মেয়েদের হাত ধরে। এই নিয়ে পরপর দুবার দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলার মেয়েরা। কিন্তু সেই মেয়েরাই নানাভাবে অবহেলিত। আবাসন সমস্যা থেকে বেতন বকেয়া-এমন নানা সমস্যায় জর্জরিত চ্যাম্পিয়ন মেয়েরা।
এবার নারী ফুটবলারদের সব সমস্যার কথা শুনেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি মেয়েদের সমস্যা সমাধান আশ্বাস দিয়ে লিখিত আকারে অভিযোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দিনই তাদের অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দেশে ফিরলে মেয়েদের সঙ্গে দেখা করার বার্তাও দিয়েছেন সেদিন। অবশেষে আজ শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে সাফে বাংলাদেশ দলে থাকা ২৩ জন ফুটবলার ও ম্যানেজার মাহমুদা অনন্যা গিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বাস ভবনে। সেখানে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কোচ পিটার বাটলার।
সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়া পুরো দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। ২৫ সদস্যের টিমের সঙ্গে নাস্তাও করেন উপদেষ্টা। সঙ্গে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। তিনি জানান, মেয়েদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আলোচনা নিয়ে।
আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘আপনারা জানেন, প্রধান উপদেষ্টা সাফজয়ী নারীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তিনি সব নারী ফুটবলারদের কথা শুনেছেন। সবার কথা লিখিত আকারে চেয়েছেন। খেলোয়াড়রা লিখিত আকারে জমা দিবেন। তিনি আরও উৎসাহ দিয়েছেন মেয়েদের। যাতে মেয়েদের এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকে।
নারী ফুটবলাররা তাদের সাইন করা জার্সি ও ফুটবল উপহার দিয়েছেন। তিনিসহ আমরা সবাই নারী ফুটবল টিমের সঙ্গে নাস্তা করেছি। তাদের সব সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। সেগুলো সমাধানের জন্য স্যার ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন।’
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘মেয়েরা আবাসন সমস্যা, ক্যাম্পের সমস্যা, বেতন, অনুশীলন- এ সকল বিষয় নিয়ে স্যারের (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন। সবকিছুই লিখিতভাবে তারা জমা দিবেন তারা। আমি সেটা প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছে দেব। আমি জানি যে, তাদের দুই মাসের বেতন বাকি আছে। এতদিন বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিন ছিল। এখন নতুন কমিটি এসেছে। আশা করি সমাধান হবে বিষয়টি।’