বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে ৬ মামলা বাতিল   সাবেক সচিব নাসির উদ্দীনকে নতুন সিইসি নিয়োগ   ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন ক্রিকেটার মঈন আলী   বিক্ষোভরত অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া   জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান   রেলপথ মন্ত্রণালয়ে যুক্ত হলো ৫ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট   ছাত্র-জনতার কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বাংলাদেশের যে গ্রামে জনসংখ্যা মাত্র ৪ জন
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:৪৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

সবচেয়ে ছোট গ্রামের সন্ধান মিলেছে, যেখানে বাস করেন মাত্র চারজন। বাংলাদেশের মধ্যেই বিচিত্র এ গ্রামের অস্তিত্ব রয়েছে ভূমি মানচিত্রেও। 

ক্ষুদ্র এই গ্রামটি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ৮ নম্বর রাজীবপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। গ্রামের নাম উমানাথপুর। এখানেই বাস করেন মাত্র চারজন।

ব্যতিক্রমী এ গ্রামের অস্তিত্ব সম্পর্কে স্থানীয় আশপাশের গুটিকয়েক মানুষ ছাড়া জানেন না বেশিরভাগ এলাকার মানুষ। উমানাথপুর নামে রয়েছে আলাদা মৌজাও।

উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২-১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রাজীবপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উমানাথপুর গ্রাম। গ্রামটিতে রয়েছে একটি মাত্র বাড়ি, যেখানে বসবাস করে একটিমাত্র পরিবার। বাড়িটি দলিল লেখক সিরাজুল সরকারের (৭৫)। মাত্র ২৫ শতক জমির ওপর নির্মিত এ বাড়িতে রয়েছে দুটি বসতঘর, একটি গোয়ালঘর, আছে একটি পুকুর ও একটি টয়লেট।

অন্যের জমির আইল দিয়ে এ বাড়িতে যেতে হয়। আর এ বাড়ি ঘিরেই গঠিত হয়েছে ‘উমানাথপুর’ গ্রাম। এ গ্রামের পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদ। আশপাশে গ্রামের মধ্যে রয়েছে- উত্তরে রামগোবিন্দপুর, দক্ষিণে হরিপুর, পূর্বে উদয়রামপুর এবং পশ্চিমে রামগোবিন্দপুর ও হরিপুর গ্রাম। সম্প্রতি এ গ্রামের একমাত্র বাড়ির কর্তা দলিল লেখক সিরাজুল সরকারের ছেলে শরীফুল আলমের মৃত্যু হয়েছে। এরপর এ গ্রামের কথা জানাজানি হয়।

পাশের রামগোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরুল হক পারভেজ বলেন, একটি বাড়ি নিয়ে একটি গ্রাম। কয়েক যুগ আগেই এ গ্রাম গড়ে উঠেছে। বাপ-দাদাদের আমল থেকেই আমরা এ গ্রামের অস্তিত্ব দেখে আসছি। জমির কাগজপত্রে এ গ্রামের অস্তিত্ব আছে। এ বাড়িতে আসার একমাত্র রাস্তাটা সংস্কার করে প্রশস্ত করে দিলে বাড়িতে থাকা মানুষদের চলাচলে অনেক সুবিধা হতো। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের কাছে রাস্তাটি প্রশস্ত করার দাবি জানাই।

বাড়ির কর্তা সিরাজ সরকার (৭৫) বলেন, আমার বাবা সাবেক ইউপি সদস্য রমজান আলী সরকার ও তার পূর্বপুরুষরা এ বাড়িটি ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ গ্রামে মোট জমির পরিমাণ ছয়/সাত একর। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমি পরিবার নিয়ে এ বাড়িতে বসবাস করি। আমাদের পরিবারের মোট সদস্য বর্তমানে চারজন। এর মধ্যে নাতি ছাড়া আমি, আমার স্ত্রী ও এক পুত্রবধূ ভোটার। এ গ্রামের জেএল নম্বর ১১৬। তবে আমার বোনেরা বসবাস করেন বাড়ির পেছনে অন্য গ্রামে।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার বলেন, উমানাথপুর গ্রামটি আমাদের ঈশ্বরগঞ্জের সম্পদ। আমরা ইতোমধ্যে গ্রামটি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। অতিদ্রুত গ্রামে ভালোভাবে যাতায়াত করার জন্য সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তার উন্নয়নে কাজ করব।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]