বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মো. নুরুল হক নুরকে (ভিপি নুর) পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) এলাকায় সহযোগিতা করতে বিএনপির নেতা–কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ২২ অক্টোবর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমন একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। এই চিঠি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
নুরুলের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নে। পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসন থেকে তার নির্বাচন করার গুঞ্জন চলছে দীর্ঘদিন ধরে।
মঙ্গলবার বেলা ৩টায় গলাচিপা হাইস্কুল মাঠে বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে জনসভা হওয়ার কথা। এতে প্রধান অতিথি থাকার কথা নুরুল হক। এ ছাড়া আগামীকাল বুধবার দশমিনায় এবং পরশু বৃহস্পতিবার কলাপাড়ায় জনসভায় তার বক্তব্য দেওয়ার কথা।
গত ৬ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীতে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে নুরুল হক নুর উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন। তখন নেতা–কর্মীরা হামলার শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এবার যেন এমন পরিস্থিতি না হয়, সে জন্য কেন্দ্র থেকে বিএনপি চিঠি পাঠিয়েছে বলে মনে করছেন পটুয়াখালী বিএনপির নেতা–কর্মীরা।
দলীয় নির্দেশ কীভাবে দেখছেন, তা জানতে চাইলে দশমিনা উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মো. শামিম খান বলেন, দশমিনাতে গণঅধিকার পরিষদের জনসভার কর্মসূচি আছে। সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন নুরুল হক নুর। সভায় যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, তাই এই চিঠি।
গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আ. ছত্তার হাওলাদার বলেন, যুগপৎ আন্দোলনে আমরা ছিলাম, নুরুল হক নুর ছিলেন। পটুয়াখালী-৩ আসন নুরের এলাকা। দশমিনা ও গলাচিপা এলাকায় তিনি সভা-সমাবেশ করবেন। এই সভা-সমাবেশে যাতে কোনো ধরনের গন্ডগোল না হয়, শুধু এই কারণে আমাদের সহযোগিতা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরাও এ ব্যাপারে সহযোগিতা করব। শোনা যাচ্ছে, এই আসন থেকে ভিপি নুর নির্বাচন করবেন এবং বিএনপি তাকে সহযোগিতা করবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আসলে এসব কিছু না। নুরের দলের কিছু সমর্থক এটা প্রচার করছেন।’
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. হাসান মামুনের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের দশমিনা উপজেলা সদরে। এই আসনে তিনি বিএনপির হয়ে নির্বাচন করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
চিঠির বিষয়ে হাসান মামুন বলেন, ‘এই চিঠির সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কর্মসূচিতে গেলে কিছু উচ্ছৃংখল লোকজন তাকে বাধা দেয়। এমন ঘটনা যাতে কেউ ঘটাতে না পারে, সে লক্ষ্যেই মূলত বিএনপির নেতা–কর্মীদের সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। এটা ছাড়া আর কিছুই না।’
রুহুল কবির রিজভীর সই করা চিঠিতে বিএনপির নেতা–কর্মীদের নুরুল হকের জনসংযোগ ও তার দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। এই আদেশ অতীব জরুরি।