বাকশাল থেকে জনতাকে মুক্ত করেছিলেন শহিদ জিয়া: ড. মঈন খান
মো. আনিসুর রহমান পলাশ, নরসিংদী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. মঈন খান বলেছেন, ‘শহিদ জিয়া আওয়ামী লীগের বাকশাল থেকে জনতাকে মুক্ত করেছিলেন। ঠিক একইভাবে ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারমুক্ত করেছিল। পলাশকে টেন্ডার, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী থানায় পরিণত করেছিল। হাসিনা সরকার পতনের পর পলাশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।’
সোমবার (২৮ অক্টোবর) নরসিংদীর পলাশে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পলাশ একটি ফুলের নাম আর এ ফুলকে ধরে রাখতে হবে পলাশের যুবদলকে। মনে রাখতে হবে ন্যায়-নীতি, শৃঙ্খলা ও আদর্শ এই তিনটি শক্তির মাধ্যমে সমাজ সুন্দর রাখা যায়।’
ড. মঈন খান বলেন, ‘এই শান্তি-শৃঙ্খলা ধরে রাখতে হবে যুবদলকে। আমরা দেখেছি বিগত সময় শেখ হাসিনার সরকার এদেশকে তারা পৈতৃক সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছিল। তারা কোনদিন চিন্তাও করেনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারকে পলায়ন করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার এদেশের গণতন্ত্রকে কুক্ষিগত করে রেখেছিল। কিন্তু এদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে আসে এবং এ অধিকার যতক্ষণ বাস্তবে রূপান্তরিত না হয় ততক্ষণ সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহিদ আবু সাঈদ সহ যত ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শহিদ হয়েছে এবং আহত হয়েছে তাদের রক্ত বৃথা হতে দেওয়া যাবেনা। এজন্য সবাইকে একসাথে হয়ে গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য কাজ করতে হবে।’
পলাশ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নিছার আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, পলাশ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সাত্তার, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহব্বায়ক শাহেন শাহ শানু, সদস্য সচিব হাসানুজ্জামান হাসান, উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইফুল হক, পলাশ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব বখতিয়ার হোসেন ভুইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ খান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন, পলাশ উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আলম মোল্লা, ঘোড়াশাল পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন চিশতিয়া, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব শাহিন বিন ইউসুফ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পিন্টু ভূইয়া, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সানোয়ার মিয়া প্রমুখ।