প্রকাশ: সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:৫২ পিএম আপডেট: ২৮.১০.২০২৪ ৪:০৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ১১ দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি না দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
একইসঙ্গে এই দলগুলোকে ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়ে রিটে রুল চাওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ তিনজন আবেদনকারী রিটটি করেন। অপর দুজন হলেন- মো. আবুল হাসনাত ও মো. হাসিবুল ইসলাম।
যেসব দলের রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষিদ্ধ চাওয়া হয়েছে সেগুলো হলো আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), গনতন্ত্রী দল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরিকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, লেবারের ডেমক্রেটিক পার্টি, মার্ক্সিস্ট-লেলিনিস্ট (বড়ুয়া) ও সোসিওলিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ।
এই তিন রিটকারির করা অপর একটি রিটে একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। তিনটি নির্বাচনের গেজেট নোটিফিকেশন বাতিল চাওয়া হয়েছে রিটে। এই তিনটি নির্বাচনে যারা সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তাদের সব সুযোগ-সুবিধা ফেরত নিতে বলা হয়েছে।
ভবিষ্যতে এই ১১ দল যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে তার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। যারা এমপি হয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে কেন রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দায়ের করার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রিটে।
জানা গেছে, বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মো. মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এসব রিটের শুনানি হতে পারে।
আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গত ২৩ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সরকারকে আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে। ওই আল্টিমেটামের পরই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে সরকার।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন আগস্টে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ও এর অঙ্গ সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার। ক্ষমতা গ্রহণের পর ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।