প্রকাশ: রোববার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪, ১:৪৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বেশ কয়েক বছর ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতার পর অবশেষে নতুন নেতা নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন জাপানের নাগরিকরা। এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটির নাগরিকরা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার ভাগ্য নির্ধারণ করবেন।
রোববার (২৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। তবে এবারের নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আশা করতে পারছে না ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
জনমত জরিপের বরাত দিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আজকের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাপানে ইশিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির এক দশকের আধিপত্য শেষ হতে পারে।
বেশ কিছু জেলায় এলডিপি প্রার্থীরা দেশটির কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (সিডিপি) প্রার্থীদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। সিডিপি হলো দেশটির পার্লামেন্টের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল।
জাপানে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও মূল্যস্ফীতির কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ইশিবার জোট সরকার। জাপানে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে চলছে। অন্যদিকে প্রতিবেশী চীনের সাথে সম্পর্কের উত্তেজনাও বাড়ছে। এমন প্রেক্ষাপটে জাপানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নির্বাচন হচ্ছে আজ।
নিম্নকক্ষের আসনসংখ্যা ৪৬৫টি। ভেঙে দেয়ার আগে নিম্নকক্ষে এলডিপি-কোমেইতোর সম্মিলিত আসনসংখ্যা ছিলো ২৮৮টি। তবে, নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখতে হলে এই দুই দলের মোট ২৩৩টি আসনে জয়লাভ করতে হবে।
এর আগে গত আগস্ট মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ঘোষণা দেন, এলডিপির নেতৃত্ব নির্বাচনের পরবর্তী লড়াইয়ে তিনি নামছেন না। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তিন বছরের জন্য এলডিপির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন ফুমিও কিশিদা। এরপর জাতীয় নির্বাচনে জিতে একই বছরের অক্টোবরে তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন।
এলডিপির ভেতরে বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশিত হওয়ায় ফুমিও কিশিদার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে। করোনা মহামারি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতায় তীব্র সমালোচনা মাথায় নিয়ে ইউশিহিদে সুগা বিদায় নিলে এলডিপির প্রধান হয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন ফুমিও কিশিদা। এর আগে তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।