বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা করার করবো ইনশাআল্লাহ্: নতুন সিইসি   ডেঙ্গুতে আরও ৯ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১২১৪   জ্বালানি তেলের মূল্য ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব: সিপিডি   প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়   গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে   ২০২৫ সালে মাধ্যমিকে ছুটি ৭৬ দিন   ডিএমপি কমিশনারের দায়িত্ব নিলেন শেখ সাজ্জাত আলী   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
রাষ্ট্রপতি ‘ফ্যাসিবাদের প্রোডাক্ট’ হলেও সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করা যাবে না: রিজভী
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:১৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনকে ‘ফ্যাসিবাদের একটি প্রোডাক্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে তার পরও তাকে অপসারণে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘আজকে রাষ্ট্রপতির বিষয় নিয়ে কথা উঠেছে, আমরা সবাই জানি এই রাষ্ট্রপতি ফ্যাসিবাদেরই একটি প্রোডাক্ট। কিন্তু আপনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন ছোটখাটো যদি গর্ত হয় আপনি সেই গর্ত টপকিয়ে পার হয়ে যেতে পারবেন কিন্তু বড় গর্ত যদি খাল হয়, তখন তো সেটা টপকানোর সম্ভব নয়, সেটি টপকাতে গেলে পড়ে যেতে পারেন। সুতরাং যাতে কোনো সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি না হয় এইজন্য অনেক চিন্তা করে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। অল্প শূন্যতা হলে সেই শূন্যতা ভরাট করে দেয়, কিন্তু বড় শূন্যতা হলে ওটা ভরাট করা মুশকিল হয়। এইখানে শেখ হাসিনার পতনে যারা অসন্তুষ্ট হয়েছেন বাংলাদেশের ভেতরের কিছু মানুষ এবং বাইরের লোকজন নানা ষড়যন্ত্র চক্রান্তে মেতে উঠবে।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘একটি পরিস্থিতি একটি দুনিয়া কাঁপানো বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তারা নিশ্চয়তা দিবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের। সেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে এর মধ্যে সংস্কারের যে কথাগুলো উঠেছে, সেই সংস্কার তারা করবে কিন্তু কথা হলো সেটা তারা কত দিনে করবে? নির্বাচনের জন্য আপনারা যে তারিখটা দিবেন সেটা বলে দিন। এর মধ্যে যতটুকু সংস্কার করা দরকার করুন।’

এ সময় তিনি ড. ইউনুস বাংলাদেশের একজন কৃতি মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘এদেশের জনগণ রাজনৈতিক দল যারা গণতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছে তারা সকলেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। নিঃসন্দেহে ড. ইউনুস বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে নিয়ে এসেছেন। প্রত্যেকেই তাকে শ্রদ্ধা করে। যে গণতন্ত্রের জন্য এত লড়াই, এত সংগ্রাম, অনেক মা তার সন্তানহারা, অনেক স্ত্রী তার স্বামীহারা, এটা তো শুধুমাত্র গণতন্ত্রের জন্য কথা বলার জন্য এবং নাগরিক স্বাধীনতার জন্য। তাই যদি হয় তাহলে নির্বাচন নিয়ে আপনাদের এত দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কেন?’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘গত ১৫ বছর ছিল এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি। এক ভয়ঙ্কর দানব শেখ হাসিনাকে তাড়াতে গিয়ে শটগানের গুলিতে কারো পা চলে গেছে, কারো দু’চোখের আলো নিভে গেছে, কারো কারো জীবন চলে গেছে। আওয়ামী বাকশালী দুঃশাসনে ভয়ঙ্কর বিষাক্ত বাতাসের মধ্যে সারা বাংলাদেশের মানুষ গত ১৫ বছর ছিল। যারা কথা বলেছে, যারা প্রতিবাদ করেছে তাদেরকে রাতের অন্ধকারে তাদের স্ত্রীর কাছে থেকে, তাদের মায়ের কাছ থেকে, তাদের বাবার কাছ থেকে নিয়ে অদৃশ্য করে দেয়া হয়েছে। এই এলাকার সুমন, জাকির আমাদের মাঝে আর নেই, তারা এখন কোথায় আছে আমরা কেউ বলতে পারি না। তাদেরকে গুম করা হয়েছে। আমি তো মাত্র দুজনের নাম বললাম।’

রিজভী বলেন, ‘ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ সারা বাংলাদেশে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে অসংখ্য নেতাকর্মীদেরকে অদৃশ্য করে দেয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই- শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেউ একটা টু-শব্দ করবে না, কেউ টু শব্দ করলে তার পরিণতি হবে গুম অথবা জনির মতো ক্রসফায়ারে হত্যা। এই ছিল শেখ হাসিনার আমল।’

তিনি বলেন, ‘অনেক লড়াই করতে হয়েছে আমাদেরকে। দিনের পর দিন দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে পুরনো জরাজীর্ণ কারাগারে রাখা হয়েছে। ৬০ লাখ বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে প্রায় দুই লাখ মামলায়। এই অবস্থার মধ্যে শেখ হাসিনা মনে করেছিল আমার বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ নেই, আমি বাংলাদেশের মানুষের টাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রের নামে আমার নিজেদের লোকজনদেরকে দিয়ে লুটপাট করাবো, কেউ কোন আওয়াজ করতে পারবে না। সোনালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে জনগণের গচ্ছিত টাকা আমি হরিলুট করব, পাচার করব, কানাডায় বেগমপাড়া বানাব, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম বানাব কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারবে না। এই ছিল শেখ হাসিনার ইচ্ছা। এভাবেই গত ১৫ বছর শেখ হাসিনা দেশ চালিয়েছে। বিচার বিভাগ, পুলিশ বিভাগ, জনপ্রশাসন তার শাড়ির আঁচলের মধ্যে বাঁধা ছিল।’

এসময় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ফখরুল ইসলাম রবিন, ডা: জাহিদুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]