পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্রলীগ ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ হয়েছে। তাদের কোনো রাজনৈতিক অধিকার নেই। কোথাও মিছিল করার চেষ্টা করলে অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠনের মতোই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে অতীত কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে। অপছন্দ করার কারণে তাদের নিষিদ্ধ করা হয়নি।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রংপুর মহানগর পুলিশের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আইজিপি ময়নুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নৈরাজ্যকারী যারাই জড়িত ছিল তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তাকে বদলি করা হয়েছে, তারমানে এ নয় যে, তাকে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বদলি বা ক্লোজডের বিষয়টি একটি প্রাথমিক প্রক্রিয়া। সব পুলিশ অপরাধী, এটা যেমন আপনারাও মনে করেন না, আমরাও মনে করি না।
ময়নুল ইসলাম বলেন, কতিপয় পুলিশ সদস্য জড়িত। মামলাগুলোর তদন্ত চলমান। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
নেতৃত্ব পর্যায়ে গুটিকয়েক বিপথগামী অফিসারের কারণে পুলিশ তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন ময়নুল ইসলাম। এবার জণগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের পুলিশ তৈরি করতে চায় সরকার।
রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, প্রশাসন ও রাজনীতি একসঙ্গে মেলাবেন না। যে পুলিশ রাজনীতি করতে চান তারা দয়া করে চাকরি ছেড়ে চলে যান। আর যে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা পুলিশকে ব্যবহার করতে চান তারাও এটা থেকে বিরত থাকবেন। তাহলে পুলিশের যে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার শুরু হয়েছে সেটা সম্ভব হবে।
আইজিপি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্টরা বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করেছে। ওই অস্ত্র তারা ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। আমরা চেষ্টা করছি, এসব অস্ত্র সরকারের কাছে জমা করতে।
পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন আইজিপি।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আইজিপি ময়নুল ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাড়িতে যান। সেখানে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে তার মা-বাবা ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।