সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক ফুটবলার ও বাফুফের সাবেক সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়াল। নির্বাচনে তিনি ১২৩ ভোট পেয়েছেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী দিনাজপুরের ফুটবল কোচ মিজানুর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন ৫ ভোট। আর ১৩৩ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১২৮ জন ভোট দিয়েছেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহউদ্দিন।
এর আগে সকাল ১০টায় শুরু কংগ্রেস শেষে নির্বাচন শুরু হয় দুপুর ২টায়, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলেছে ভোট গ্রহণ। নির্বাহী কমিটির ২১ পদের মধ্যে ২০টির বিপরীতে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ৪৬ জন প্রার্থী।
সভাপতি পদের ২ জন ছাড়াও ৪ সহসভাপতি পদে ৬ জন ও ১৫টি সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন ৩৭ জন। তবে ভোটের লড়াইয়ের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে চূড়ান্ত হয়ে গেছেন বসুন্ধরা কিংসের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান।
তাবিথ আউয়াল সালাহউদ্দিনের সময় একাধিকবার বাফুফের সহ-সভাপতি ছিলেন (২০১২ ও ২০১৬ সালে)। এছাড়া ২০২০ সালের নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে মহি উদ্দিন মহির সঙ্গে ৬৫-৬৫ ভোটে ড্র হয়। এরপর পুনরায় ভোট হলে ৬৭-৬৩ ভোটে হেরে যান তাবিথ।
এবার তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান দিনাজপুর জেলার ফুটবল সংগঠক। সভাপতি পদে তার নির্বাচন করাটাই ছিল চমক। এই পদের জন্য আরও দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও পরে তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
বাফুফের প্রথম নির্বাচন হয় ১৯৯৮ সালে। এসএ সুলতান ছিলেন বাফুফের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি আর কাজী সালাউদ্দিন ছিলেন দ্বিতীয়। এই কিংবদন্তি ফুটবলার ৪ মেয়াদে বাফুফের সভাপতি ছিলেন। এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি তিনি।
তাবিথ বাফুফের তৃতীয় নির্বাচিত সভাপতি। তবে ভোটের হিসেবে তিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। তাবিথ আউয়াল আগামী চার বছরের জন্য বাফুফের সভাপতি থাকবেন। প্রায় ১৬ বছর পর বাফুফে প্রধানের চেয়ারে বসবেন বাফুফের নতুন প্রধান।