প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:৫২ পিএম আপডেট: ২২.১০.২০২৪ ১২:৫৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
যুবদল নেতা ও মিরপুরের বাঙালিয়ানা ভোজ রেস্তোরাঁর সহকারী বাবুর্চি হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার (সিএমএম) আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল হালিম আদালতে সুমনের ১০ রিমান্ড আবেদন করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই হৃদয় জুমার নামাজ আদায় করে মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর ১০ নং হাতিয়াইন ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি। এ ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ব্যারিস্টার সুমন এ মামলার ৩ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
গতকাল সোমবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে মিরপুর-৬ এলাকা থেকে ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে রাত ১টা ২১ মিনিটে নিজের ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুকে আইডি থেকে ব্যারিস্টার সুমন লেখেন, ‘আমি পুলিশের সঙ্গে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই।’ এর পাশাপাশি একটি ভিডিও বার্তাও দেন তিনি।
২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের সেই ভিডিওতে তিনি জানান, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর অনেকের মতো আমি দেশত্যাগ করিনি। আমি দেশেই আছি, ঢাকা শহরেই আছি। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে আমি নিজের অবস্থান একটু গোপন রেখেছি।
ভিডিও বার্তায় ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, দেশ সংস্কারে কাজ করার সুযোগ পেলে আমি কাজ করব। সংস্কারের অংশ হিসেবে এখন যাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে, এরকম অনেকের বিরুদ্ধে আমি মামলা করেছিলাম। এর শুরুটা আমিই করেছিলাম।
এ সময় সংসদ সদস্য হিসেবে পাওয়া স্বল্প সময়কে দেশের মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেছেন বলে জানান ব্যারিস্টার সুমন। রাজনৈতিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করে অনৈতিক কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া কিংবা অবৈধ সম্পদ গড়েননি বলেও দাবি করেন সুমন।
তিনি জানান, আমার নামে কোনো মামলা হলে আমি যেহেতু আইনজীবী, তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আমার আছে। আমি আইনের মাধ্যমেই সেটি মোকাবিলা করব।
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও তা পাননি সুপ্রিম কোর্টের আলোচিত এই আইনজীবী। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে পরাজিত করে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিলে আর সবার মতো সংসদ সদস্য পদ হারান তিনি।