লেবানন থেকে প্রথম দফায় ৫৪ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। জেদ্দা থেকে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের খোঁজ-খবর নেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
এসময় তিনি বলেন, আমি লেবাননের বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি, কারণ ফিরে যারা আসছেন তারা দূতাবাসের প্রশংসা করছেন। উনারা সেখানে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দিন-রাত কাজ করছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, আমরা দেখবো ফিরে যারা আসছেন তাদের পুনর্বাসন করা যায় কিনা। লেবাননের পরিস্থিতি ঠিক হলে উনারা আবার যাবেন। আমরা এখানে উনাদেরকে ছেড়ে দেবো না। আমরা দেশে অথবা বিদেশে পুনর্বাসনের চেষ্টা করবো।
আসিফ নজরুল বলেন, রেমিট্যান্সযোদ্ধা যারা দেশে আসছেন আমরা তাদেরকে ভিআইপি সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করছি। প্রবাসীদের এই সেবা দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অচিরেই আমরা প্রবাসীদের জন্য লাউঞ্জ তৈরি করছি, দুই সপ্তাহের মতো লাগবে। আমরা আশা করি বড় অনুষ্ঠান করে উদ্বোধন করতে পারবো। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের স্বপ্ন, প্রবাসীরা যেন ভিআইপি ট্রিটমেন্ট পায়।
এর আগে, গতকাল স্থানীয় সময় রাত ১১টার কিছু আগে লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংস্থা মিডল ইস্ট এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে রওনা হন ৫৪ জন বাংলাদেশি। দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় তাদেরকে বৈরুতের রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি বাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়।
আসিফ নজরুল জানান, লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে যত টাকা প্রয়োজন খরচ করা হবে। আইওএম-এর সহায়তায় আমরা সবাইকেই বিনা খরচে নিয়ে আসবো।
এদিকে, রোববার রাতে বৈরুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, দ্বিতীয় ফ্লাইটে ৬৩ জন সিরিয়ালধারী এবং তাদের শিশু সন্তানসহ মোট ৬৫ জনের দ্বিতীয় ফ্লাইট বৈরুত হতে জেদ্দা হয়ে ঢাকার উদ্দেশে বিমানযোগে রওনা করবেন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
দূতাবাস জানায়, লেবাননে চলমান যুদ্ধপরিস্থিতির কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা স্বেচ্ছায় দেশে যেতে দূতাবাস বরাবর আবেদন করেছেন এবং যাদের পাসপোর্ট, আকামাসহ আবশ্যক ট্রাভেল ডকুমেন্টস প্রস্তুত রয়েছে, তাদের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।