প্রকাশ: শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ২:১৬ এএম | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর পৌরসভার নগর উন্নয়ন প্রকল্পের ২কোটি ৫০লাখ টাকা বরাদ্দের রাস্তা (সিসি) নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে ভালো মানের পাথর ব্যবহার করার কথা থাকলেও ঠিকাদার বেশি লাভের আশায় নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করছে, দেওয়া হচ্ছে প্রতি খাঁচায় এক থেকে দুইটি করে রড কম। বুধবার দুপুরে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যুৎ অফিস থেকে আব্দুল হাই সিকদারের বাড়ি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ কাজে এই অনিয়ম হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা শহরের বিদ্যুৎ অফিস থেকে আবদুল হাই সিকদারের বাড়ি পর্যন্ত ৯২৫ মিটার সিসি ঢালাইয়ের রাস্তা ও ড্রেনের কাজটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হামিম ইন্টারন্যাশনাল এন্ড শেখ এন্টারপ্রাইজ (জেভি) পেয়েছে। তবে কাজটি করছেন শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক রাশেদুজ্জামান নামে এক ঠিকাদার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা ও স্থানীয়রা জানান, রাস্তা নির্মাণ কাজে নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রচুর মাটি থাকার পরও পাথরগুলো না ধুয়ে ব্যবহার করা হয়। ৪টুকরি পাথর, ৩ টুকরি বালি ও একটি সিমেন্ট মিক্সার করে ঢালাই দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে ৬ টুকরি থেকে ৮ টুকরি পাথর, ৪ থেকে ৫ টুকরি বালু এবং একটি সিমেন্ট। প্রতিটি খাঁচায় দেওয়া হচ্ছে এক থেকে দুইটি করে রড কম।
তবে ঠিকাদারের সাথে একাধিক বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ঠিকাদারের ম্যানেজার বলেন, আমরা না থাকায় হয়তো বা তারা এই ভুলটা করেছে।
কাজের সাইডের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী মামুন গাজী বলেন, আমাকে একাধিক কাজের সাইডে যেতে হয়, এর ফাঁকে হয়তো একটু অনিয়ম করে। তবে ঢালাইয়ের রডের খাঁচায় একটি করে রড কম দেওয়া হয় বলে শিকার করেন তিনি।
শরীয়তপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ অফিস থেকে আব্দুল হাই সিকদারের বাড়ি পর্যন্ত ৯২৫ মিটার সড়কের কাজ শেষ পর্যায়ে। কাজে অনিয়ম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে পাথরের মধ্যে মাটি ছিলো বেশি, তা পরিস্কার করে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।