প্রকাশ: শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ১:৫১ এএম | অনলাইন সংস্করণ
৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট, ৪ নভেম্বর জাতীয় দিবস বাতিল এবং জাতির পিতা বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত ও বক্তব্যের নিন্দা-প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ। একই সঙ্গে দলটি এ সব বিষয়ে বিতর্কে জড়ানো থেকে সযত্নে দূরে ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়।
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবসকে জাতীয় দিবস হিসাবে প্রদত্ত স্বীকৃতি ও মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত এবং একজন উপদেষ্টা কর্তৃক 'সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে মনে করে না' বলে প্রদত্ত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছে জাসদ।’
“অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই সিদ্ধান্ত ও একজন উপদেষ্টার এই বক্তব্য প্রধান উপদেষ্টার ‘রিসেট বাটন পুশ করায় অতীত মুছে গেছে’ সম্বলিত বিতর্কিত বক্তব্যকেই সত্য বলে প্রমাণ করলো।”
জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল ঘটনাই নয়, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মারক ও অংশ।
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ঘটনা শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি কালো অধ্যায়ই না, আধুনিক বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসেও একটি কালো দিন হিসাবে চিহ্নিত।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন করে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর সংবিধান কার্যকর করার ঘটনাও বিশ্বের স্বাধীন দেশগুলোর সংবিধান রচনা ও কার্যকর করার ইতিহাসে একটি অনন্য গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা হিসেবে স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্যেই সমগ্র জনগণ ও জাতির দ্বারা স্বীকৃত হয়েছেন এবং সমগ্র বিশ্বও বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি ও প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে স্বীকৃতি ও মর্যাদা দিয়েছে।
‘জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ এদেশের জনগণের ঐতিহাসিক গণআন্দোলনের অর্জিত এবং মীমাংসিত বিষয়গুলো অমীমাংসিত করার কোনও ধরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বক্তব্য প্রদান না করা এবং এ সকল বিষয়ে বিতর্কে জড়ানো থেকে সযত্নে দূরে থাকা, সতর্ক থাকার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।’