প্রকাশ: শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:৪৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
দুনিয়াতে আসার আগে মাতৃগর্ভে থাকতেই প্রত্যেক মানুষের রিজিক, মৃত্যু, দুর্ভাগ্য ও সৌভাগ্য এই চারটি বিষয়ে লিপিবদ্ধ করে দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের পূর্বে কারো মৃত্যু হয় না। কাজেই মৃত্যুর পূর্বে সময়কে কাজে লাগানো উচিত। কেননা মুমিনের হায়াতের সঙ্গে সঙ্গে কল্যাণ দীর্ঘায়িত হয়।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে এবং তা আসার পূর্বে যেন তার জন্য দোয়া না করে। কেননা তোমাদের কেউ মারা গেলে তার আমল বন্ধ হয়ে যায়। আর মুমিন ব্যক্তির বয়স দীর্ঘায়িত হলে এতে তার কল্যাণই বৃদ্ধি পেতে থাকে।’ (মুসলিম : ৬৫৭৫)।
আয়ু বা হায়াত বৃদ্ধির জন্য রসুলুল্লাহ (স.) দোয়া করেছেন। আমল শিক্ষা দিয়েছেন। এমনই তিনটি আমল এখানে উল্লেখ করা হলো:
দোয়া ও নেক আমল
হজরত সালমান (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, দোয়া ব্যতীত অন্য কোনো কিছু ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না এবং সৎকাজ ব্যতীত অন্য কোনো কিছু হায়াত বাড়াতে পারে না। (তিরমিজি : ২১৩৯ )
আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক
হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি চায় যে, তার রিজিক প্রশস্থ হোক এবং আয়ু বৃদ্ধি পাক, সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখে। (বুখারি : ৫৫৬০)
প্রতিবেশীর সঙ্গে সদ্ব্যবহার
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখা, চরিত্র সুন্দর করা এবং প্রতিবেশীর সঙ্গে সদ্ব্যবহার বজায় রাখায় দেশ আবাদ থাকে এবং আয়ু বৃদ্ধি পায়। (মুসনাদে আহমদ : ২৫২৫৯ )। শরিফ আহমাদ