প্রকাশ: বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:৫৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, লালমনিরহাটের দুই উপজেলার ছয়টি কলেজ থেকে ১৭ জন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েও কেউ পাস করেনি। ১৭ জনেই ফেল করেছে। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক হতাশায় পড়েছে।
জানা গেছে, লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী কালীগঞ্জ) আসনের অবস্থিত ছয়টি কলেজ।ওই আসনে টানা দুবার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। মন্ত্রীর ক্ষমতায় এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও শিক্ষার মান ছিল নিম্নমুখী। প্রায় সব প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী শিক্ষক ছিলেন মন্ত্রীর দলীয় কাছের মানুষ। বিধায় ক্লাস না করেও নিয়মিত বেতন-ভাতা ভোগ করেছে। কলেজ ফাঁকি দিয়ে সবাই রাজনীতি নিয়েই মহাব্যস্থ ছিলেন।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে জানা গেছে, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নেওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় লালমনিরহাটের দুই উপজেলার ছয়টি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। ওই ছয়টি কলেজ থেকে ১৭ জন চলতি বছরে এইচএসসি পরীক্ষা দেন এবং ১৭ জনেই ফেল করেছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- কালীগঞ্জ উপজেলার সোনারহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে তিনজন, কাকিনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের একজন, শিয়ালখোয়া কলেজ থেকে তিনজন, দুহুলী এসসি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে একজন এবং আদিতমারী উপজেলার গন্ধমরুয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে আটজন, নামুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে মাত্র একজন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েও সবাই ফেল করেছে। অথচ দীর্ঘ এক যুগেও নামুরী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজটি থেকে কেউ পাস করতে পারেনি।
এ বিষয়ে লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, ছয় কলেজের একজনও পাস করেনি। বিষয়টি খুবেই দুঃখজনক। এমন ফলাফলের কারণ প্রতিষ্টানের কাচে জানতে চাওয়া হবে। আগামী দিনে এমন হতাশাজনক ফলাফল দেখতে না হয়।