প্রকাশ: বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:৫০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রাজধানীর তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারের আড়তদারেরা ভোক্তা পর্যায়ে ১২ টাকায় বিক্রি নিশ্চিত করবেন এমন শর্তে নিজেদের উদ্যোগে আড়তে ২০ লাখ ডিম সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ডিম উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতেই ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন পোলট্রিশিল্পের উদ্যোক্তাদের সংগঠন ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান।
কোনো মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ উদ্যোগে আড়তদারদের কাছে এই ডিম পৌঁছে দেবেন। আড়তে প্রতিটি ডিম বিক্রি করা হবে ১০ টাকা ৯১ পয়সায়। কাপ্তান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সরকারের বেঁধে দেয়া দামে ডিম বিক্রির এই কার্যক্রমের উদ্বোধনের কথাও রয়েছে।
মাহবুবুর রহমান জানান, পোলট্রিশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ কো–অর্ডিনেশন কমিটি বা বিপিআইসিসির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ডিমের দাম ও সরবরাহ নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ডিমের উৎপাদক, পাইকারি বিক্রেতা ও সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এখন থেকে ডিম উৎপাদনকারী বড় কোম্পানি ও ছোট খামারিরা সরকার নির্ধারিত দামে সরাসরি পাইকারি আড়তে ডিম পাঠাবে। এর মাঝে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না।
আর কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সম্প্রতি ডিমের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ দিয়েছে। প্রতিটি ডিমের দাম উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা (ডজন ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা) বেঁধে দেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কাপ্তান বাজারে ১০ লাখ ও তেজগাঁওয়ের আড়তে ১০ লাখ করে মোট ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করবে বড় বড় কয়েকটি উৎপাদক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোলট্রি, পিপলস পোলট্রি, ডায়মন্ড এগ, নারিশ পোলট্রি, রানা ফিডসহ শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ডিম উৎপাদক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।