প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:৩৩ পিএম আপডেট: ১৫.১০.২০২৪ ৫:৩৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
হার্ডলাইনে না গেলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা অনেক কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সচিবালয়ের গণমাধ্যমকেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া বলেন, আমরা একের পর এক চ্যালেঞ্জ ফেস করছি। দ্রব্যমূল্যের সাথে অনেক কিছুই জড়িত। বন্যার কারণে শাকসবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে এবং সেই কারণে চাহিদা এবং যোগানের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়েছে। অন্যান্য পণ্যের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের একটা বড় প্রভাব রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য আমরা কাজ করছি। কিন্তু ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনকে দুর্বল করা হয়েছে। করপোরেটদের সাথে আগের সরকারের একটা যোগাযোগ থাকার কারণে এটাকে এত দুর্বল করা হয়েছে যে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবেদন আসে যে অভিযান হয় সেখানে ৩ হাজার টাকা, ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু এটাতো ইফেক্টিভ না।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, আগে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেল দেওয়ারও ক্ষমতা ছিল আইনে। ব্যাপারগুলোকে এমনভাবে নষ্ট করা হয়েছে এটা টাইম নেবে একটু, এই আইন সংশোধন ও শক্তিশালী করতে। কিন্তু এর আগে আমরা ভাবছি যে আমাদের তো হার্ডলাইনে যেতে হবে। না হলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা আইনে যারা একদম কি পারসন আছে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের, প্রয়োজনে করপোরেটের যেসব কোম্পানিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করছে, আমাদের কাছে কিছু রিপোর্ট আছে, আমরা তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে অ্যারেস্ট করব।
শ্রম ও কর্মসংস্থানের উপদেষ্টা বলেন, মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়া অনেক তরুণ উদ্যোক্তা রয়েছেন, যারা সরাসরি উৎপাদকের কাছ থেকে পণ্য এনে ঢাকায় বা শহরগুলোতে সাপ্লাই করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে দাম অনেক কমে যাবে। তাদের আমরা সামনের দিনগুলোতে উৎসাহী করব। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ডিস্ট্রিবিউটার অধিকাংশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামীলীগের ছিল। তাদের অধিকাংশ কিন্তু এখন নেই। টিসিবির কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে আছে। টিসিবির কার্যক্রম আমরা আরও শক্তিশালী করার কথা ভাবছি।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।