প্রকাশ: রোববার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪, ১:৪২ এএম | অনলাইন সংস্করণ
ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে সহিংসতা, নাশকতা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে হওয়া তিনটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ৭ নং কামারচাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান (৪৬) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
শুক্রবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে শ্রীমঙ্গ।ল রেল ক্রসিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আতাউর রহমান রাজনগর উপজেলার তারাপাশা ইউনিয়নের মৃত মছব্বর মিয়ার ছেলে ও মৌলভীবাজার সদর তিন আসনের সাবেক এমপি জিল্লুর রহমানের ছোট ভাই।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গলের কোম্পানী কমান্ডার আব্দুলাহ আল নোমান। তিনি জানান পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তাকে মৌলভীবাজার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, গ্রেফতারের পর থানা হাজতে থাকা ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে লাইভে এসে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘ওই দিন হামলার সময় তিনি ছিলেননা।’ এ সময় তিনি ন্যায়বিচার দাবি করে কামারচাক ইউনিয়নবাসীর কাছে দোয়া চান।
গ্রেফতারকৃত ইউপি চেয়ারম্যান থানা হাজত থেকে এভাবে লাইভে এসে নিজেকে নির্দোষ দাবি করার এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পরপরই তা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যদিও এর কিছুক্ষন পর সেই ভিডিওটি তার আইডি থেকে ডিলিট করে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ওসি গাজী মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, সকাল থেকে তিনি থানার বাহিরে ছিলেন, গ্রেফতারকৃত আতাউর রহমান হাজত থেকে কিভাবে লাইভে আসলেন সেটি তার জানা নেই। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, আতাউর রহমান আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২০২১ সালে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় রাজনগর উপজেলার ৭ নং কামারচাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি মৌলভীবাজার-৩ (সদর-রাজনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো: জিল্লুর রহমানের ভাই। গত বৃহস্প্রতিবার (১০ অক্টোবর) তার গুদাম থেকে অবৈধভাবে আনা ২৩১ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করে পুলিশ, পরে তার নামে রাজনগর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়।