ডিমের কুসুম যেভাবে আবৃত থাকে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় তেমনি নিরাপদ থাকবেন, হিন্দুদের শরদীয় দুর্গাপূজার এক বাণীতে মাসুদ সাঈদী!
পিরোজপুরের সদর উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন জিয়ানগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও পিরোজপুর-১ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত এমপি প্রার্থী মাসুদ সাঈদী।.
এবং বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের খোঁজখবর নিয়েছেন এই জিয়ানগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সদরের মণ্ডপগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন ও পূজা উদযাপন কমিটির নেতাসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে খোঁজখবর নেন।
মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘প্রত্যেক জাতির নিজস্ব ধর্মীয় সংস্কৃতি আছে,হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব হলো দুর্গাপূজা।
ইসলাম ধর্ম শিক্ষা দিয়েছে,যার যার ধর্ম তারা সঠিকভাবে পালন করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশে সংখ্যালগিষ্ঠরা হচ্ছে একটা আমানত। তারা যদি তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করতে কোনো ধরনের বাধাপ্রাপ্ত হন, তাহলে রাসুলুল্লাহ (সা.) কেয়ামতের দিন মুসলমানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন। রাসুলের (সা.) এই হাদিসের চেতনা অনুযায়ী আমরা আপনাদের খোঁজখবর নিতে এসেছি।
’
তিনি আরো বলেন আমার বাবা আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সাহেব এখানকার জনপ্রতিনিধি থাকা অবস্থায় হিন্দু সম্প্রদায় যেরকম শান্তিতে বসবাস করতেন আগামী দিনগুলোতে পিরোজপুরের হিন্দু সম্প্রদায় সহ সারা বাংলাদেশের হিন্দুগণ ঠিক একইভাবে নিরাপত্তায় থাকবেন বলেও আশা করেন তিনি।
তিনি বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে কিছু মহল দেশে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করছে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বাংলাদেশে সব নাগরিক নিজ নিজ ধর্ম আনন্দের সঙ্গে পালন করবে।
এটা নাগরিক অধিকার। প্রশাসনের পাশাপাশি আপনাদের উৎসব সুন্দরভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী সারাদেশে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহযোগিতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
পূজামণ্ডপগুলোতে পুলিশ-আনসারের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে জানিয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করে মাসুদ সাঈদী বলেন,‘পূজামণ্ডপে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না বলেও তিনি জানান।আমরা চাই, সবাই নিজ নিজ ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করুক।
আমরা সব সময় আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব। আপনারা যেকোনো প্রয়োজনে আমাকে পাশে পাবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘শুধু উৎসবের সময় নয়, বরং আপনাদের সুখ-দুঃখসহ যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনারা আমাকে ডাকলে, আমি ছুটে আসব।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার জনাব মোঃ শওকত আলী এবং পিরোজপুর জেলার জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের পূজা মন্ডপসহ পিরোজপুরের সদর উপজেলার কেন্দ্রীয় পূজা মন্ডপ সহ অন্যান্য মন্ডপগুলিও পরিদর্শন করেন।এ সময় বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষ থেকে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের মাঝে বিতরণের জন্য বিভিন্ন প্রকারের ফল, প্রসাদ, মিষ্টি, নাড়ু ইত্যাদি উপহার সামগ্রী মণ্ডপ কতৃপক্ষের নিকট প্রদান করা হয়। অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক, পৌর আমির মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক শেখ, সদর উপজেলা আমির মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, সেক্রেটারি রাকিব হাসান, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সকল নেতৃবৃন্দ।