প্রকাশ: শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:৪৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. সারজিস আলম বলেছেন, ‘যারা জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে এ অভ্যুত্থান ঘটাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলো তাদের চিকিৎসা আর আর্থিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সরকারের এত দীর্ঘসূত্রিতা কেন?’
শনিবার দুপুরে আন্দোলনে আহতদের সহযোগিতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, যারা জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে এই অভ্যুত্থান ঘটাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলো তাদের চিকিৎসা আর আর্থিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সরকারের এতো দীর্ঘসূত্রিতা কেনো? আপনারা না পারলে আমাদের দায়িত্ব দেন।
গত ৮ আগস্ট শপথ গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাগণ। তবে এরপর থেকে এখনও বাজার পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। দ্রব্যমূল্য কমার পরিবর্তে আরও অনেক বেড়েছে। সর্বশেষ উদাহরণ- ডিমের দাম ডজন প্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়া।
গত পাঁচই অক্টোবর বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশের বাজারে ডিম এবং মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে গত ২০ দিনে ২৮০ কোটি টাকা ভোক্তাদের পকেট থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও হিমশিম খাচ্ছে সরকার।
এদিকে নানা দাবিকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টস খাতের শ্রমিকদের আন্দোলন এখনও বিক্ষিপ্তভাবে চলছে। এ আন্দোলনের ব্যাপকতা প্রথম দিকে আশুলিয়া এবং গাজীপুরে ছিল। আশুলিয়া এলাকায় পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত হলেও গাজীপুরে এখনো বিক্ষিপ্তভাবে আন্দোলন চলছে।
গত দুই মাসে ঢাকা এবং তার আশপাশের এলাকায় যানজটের ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠছে প্রতিদিন। কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে যেতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লাগছে।
যানজটে নাকাল মানুষ প্রতিদিনই ফেসবুকে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরছেন। গত পাঁচই অগাস্টের পর অনেকের মনে প্রত্যাশা ছিল যে সড়কে যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতা কাটিয়ে হয়তো শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি উল্টো হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।