প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ২:৩৪ পিএম আপডেট: ১০.১০.২০২৪ ৩:০২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে মাছ ধরতে যাওয়া বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে মিয়ানমারের নৌ বাহিনী। এতে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও ৩ জেলে।
এছাড়া এ ঘটনায় ৪টি ট্রলারসহ একাধিক জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দাদের মালিকানাধীন ট্রলারে এ ঘটনা ঘটে। পরে বৃহম্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে অপহরণকৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রলার মালিকরা। তাদের টেকনাফ পৌঁছাতে ৪ ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে।
নিহত মো. ওসমান শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি শাহপরীরদ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকানাধীন ট্রলারের জেলে। আহত ৩ জেলেও ওই ট্রলারের। তবে তাদের নাম ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ট্রলার মালিকরা জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামের বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এই ঘটনা ঘটে।
ট্রলার মালিকরা জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামের বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এই ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত জেলে মো. ওসমান শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচু মিয়ার ছেলে। তিনি শাহপরীর দ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকাধীন ট্রলারের জেলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ৩ জেলেও ওই ট্রলারের। তবে তাদের নাম ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ধরে নিয়ে যাওয়া অপর ৪ টি ট্রলারের মালিকরা হলেন: শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রীপাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান, মৃত আলী হোছেনের ছেলে আবদুল্লাহ, তার ভাই আতা উল্লাহ, উত্তরপাড়ার ছৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেম। এই ৪টি ট্রলারে ৬০ জন মাঝি-মাল্লা রয়েছে।
ট্রলার মালিক সাইফুল জানিয়েছেন, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলি বর্ষণ করে। এরপর ৫ টি ট্রলারসহ মাঝি-মাল্লাদের ধরে নিয়ে মিয়ানমারে নিয়ে যায়। যেখানে তার মালিকাধীন ট্রলারে গুলিবিদ্ধ ৪ জনের মধ্যে একজন মারা যান। বৃহস্পতিবার ওই ট্রলারটি ছেড়ে দিয়েছে। নিহত এবং আহত জেলেদের নিয়ে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে। তবে এখনও ঘাটে এসে পৌঁছেনি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানিয়েছেন, বিষয়টি নানাভাবে জানা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ চলছে।
কোস্টগার্ডের শাহপরীর দ্বীপের দায়িত্বরত কর্মকর্তা (নাম প্রকাশ না করে) বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারা গেছেন। তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ট্রলারটি ঘাটে আসার অপেক্ষায় আছে। ঘাটে আসার পর জানা যাবে। একই সঙ্গে অপর ৪টি ট্রলারও ছেড়ে দিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। বিস্তারিত জানা যাবে পরে।