অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশের সব নাগরিককে ৩৬৫ দিন নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। এটা অক্ষুণ্ন থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘মাঝে মাঝে দু’একটা ঘটনা ঘটে। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বাংলাদেশ পূজা কমিটির মহাসচিব আমাকে জানিয়েছেন, পূজাকে কেন্দ্র করে কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে এমন কোনও তথ্য তার কাছে নেই। সবাই যদি সহযোগিতা করেন, বাংলাদেশের সব মানুষকে ৩৬৫ দিন নিরাপদে থাকবে।’
পূজার দশমীর দিনের নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগামী রবিরার (১৩ অক্টোবর) পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে। এরপরেও সারা বাংলাদেশে নিরাপত্তা থাকবে। এবারের পূজার নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীকে নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হয়েছে। যেসব স্থানে যে পরিমাণ সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়োজন, সেখানে সে পরিমাণ সশস্ত্র বাহিনীর মোতায়ন করা হয়েছে। আমি আশা করবো এবার পূজা খুবই ভালোভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
আপনারা সবাই সহযোগিতা করবেন। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া আমরা কোনও কিছুই করতে পারব না। যদি কোথাও কোনও ঘটনা ঘটে, সে সময় আমাদের সঠিক তথ্য দেবেন। আমি আশা করব এবার (পূজায়) কোথাও কিছু ঘটবে না, যুক্ত করেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, পূজার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এই নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে, সবাই ভালোভাবে পালন করবেন। কোথাও কোনওে ঘটনা ঘটলে যেন সঙ্গে সঙ্গে খবর পাওয়া যায় এ জন্য জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন সেন্টারকে (এমটিএমসি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে সুযোগ সন্ধানীরা যেন কোনো অপতৎপরতা চালাতে না পারে সে লক্ষ্যে নৌবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা। সকালে রাজধানীর শাহীনবাগে রাধাকৃষ্ণ পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
নৌবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সকল ধর্ম, বর্ণ ও পেশার মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বসবাস করে। সম্প্রীতির এই মিলন মেলায় নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনে সর্বত্র সুন্দর পরিবেশ বজায় রয়েছে। তবে সুযোগ সন্ধানীরা যেন কোনো অপতৎপরতা চালাতে না পারে সে লক্ষ্যে নৌবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। পূজা উপলক্ষে সকল পূজা মণ্ডপের সুরক্ষার্থে বাহিনীর টহল কার্যক্রম চলমান।’