প্রকাশ: বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:১৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় কারাগারে থাকা সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে জামিন শুনানির সময় বাদী পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর সুনামগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন শুনানি শেষে এম এ মান্নানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ বলেন, সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান অসুস্থ হয়ে কারাগার থেকে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমরা আদালতকে সবকিছু বুঝিয়ে বলেছি, আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীর বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনা করে তাকে জামিন দিয়েছেন। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
এদিন সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ জামিন শুনানির সময় দুই পক্ষের আইনজীবীদের হট্টগোল শুরু হয়। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন এজলাস ছেড়ে চলে যান। পরে দুপুর আড়াইটায় শুনানির সময় নির্ধারণ করা হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মাশুক আলম বলেন, হঠাৎ করেই সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীর জামিন শুনানির দিন ঠিক করা হয়। আমরা সকালে তার বিরোধিতা করলে আদালতের বিচারক এজলাস ছেড়ে চলে যান। পরে তিনি দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে আবারও শুনানির কথা বললে আমরা সেই শুনানিতে উপস্থিত না হয়ে বয়কট করেছি। আদালত একপক্ষের কথা শুনে সাবেক এই মন্ত্রীকে জামিন দিয়েছেন, যা দুঃখজনক।
বাদীপক্ষের আরেক আইনজীবী অ্যাড. শেরেনুর আলী জানিয়েছেন, পিপি এপিপিরা রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে থাকার কথা কিন্তু তারা আসামি পক্ষে থেকেছেন। নিম্ন আদালতেও এই বিষয় নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করেছি। আজকেও করেছি। এই পরিস্থিতিতে সুনামগঞ্জে বিচার কার্যক্রম আগামীতে আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।
গত ২ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত এক শিক্ষার্থীর ভাই হাফিজ আলী বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক নির্জন মিত্রের আদালতে ৯৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় কারাগারে আছেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
গত ২০ সেপ্টেম্বর এম এ মান্নানকে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইতোমধ্যে তার তিন দফা জামিন শুনানি হয়েছে। এর আগে গত ৫ অক্টোবর তিনি সুনামগঞ্জের কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তার চিকিৎসার জন্য ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।