প্রকাশ: সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:০৩ পিএম আপডেট: ০৭.১০.২০২৪ ৫:২৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে জাহাজে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। আর এতে সম্মতিও দিয়েছে সৌদি সরকার।
সোমবার (৭ অক্টোবর) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল রোববার (৬ অক্টোবর) সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশের ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় সৌদির হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়া এ সম্মতির কথা জানান।
উপদেষ্টার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে সৌদি সরকারের কোনো আপত্তি নেই। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকেও জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এ বছর পরীক্ষামূলক পানিপথে জাহাজযোগে দু-তিন হাজার হজযাত্রী পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সৌদি হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী হজযাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকে আপগ্রেড করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেন। তিনি হজ এজেন্সির মালিক বা তাদের প্রতিনিধির অনুকূলে মুনাজ্জেম (মাল্টিপল) ভিসা ইস্যুর ব্যাপারেও ধর্ম উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন। এছাড়া রুট টু মক্কা কর্মসূচির আওতায় ২০২৩ ও ২০২৪ সালে হজযাত্রীদের বেশকিছু লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও মন্ত্রী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টাকে আশ্বাস দেন।
এ বছর সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি এজেন্সিকে কমপক্ষে দুই হাজার হজযাত্রী পাঠানোর কোটা নির্ধারণ করা হয়। এ ব্যাপারে ধর্ম উপদেষ্টা ২০২৪ সালের মতো এজেন্সিপ্রতি ২৫০ জন কোটা পুনর্নির্ধারণের অনুরোধ জানালে সৌদি মন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন।
এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রীকে সহায়তা করেন সে দেশের হজ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার ড. হাসান আল মানাখেরা এবং হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বদর আল সেলামি।
এ সময় ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ব্রিগেডিয়ার রাকিবুল্লাহ, জেদ্দায় বাংলাদেশ কনসুলেটের কনসাল জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ মঈনুল কবির, জেদ্দা হজ মিশনের কাউন্সেলর জহিরুল ইসলাম ও হজ কনসাল মুহাম্মদ আসলাম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।