পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় কোনো জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কোনো ধরনের শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটালে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ‘শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, আমরা সব সময় ঝুঁকি পর্যালোচনা করি। ঝুঁকির ক্ষেত্রে কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা নেই, তবুও আমরা সতর্ক থাকতে চাই। কেউ যেন ফায়দা তুলটে না পারে সেজন্যই বাড়তি সতর্কতা। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অপতৎপরতার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পূজা মণ্ডপগুলোতে আনসার মোতায়েন হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সব পূজা মণ্ডপে আনসার মোতায়েন হবে। পুলিশের অন্যান্য টহল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এখন সব জেলায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। তারাও পূজার ডিউটি পালন করবে।
এছাড়া সীমান্ত এলাকা এলাকায় বিজিবি, উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ড, নৌ অঞ্চলে নৌপুলিশসহ বিশেষায়িত পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে।
পুলিশ প্রধান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যেকোনো জায়গায় যেকোনো পূজামণ্ডপে যদি কেউ শান্তি শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটায়, অপতৎপরতা চালায় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার বাহিনীর সঙ্গে ভলেনটেয়ার বাহিনী রয়েছে, তারাও ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে। সুতরাং কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা অপতৎপরতার সুযোগ নেই।
সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, সাইবার পেট্রোলিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে করে কেউ স্যোশাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচারণা, গুজব না ঘটাতে পারে। পাশাপাশি জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে ফোন করে দ্রুত সেবা নেওয়া যাবে। এছাড়া ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন সেন্টারের (এনটিএমসি) ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মোবাইল টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং সাদা পোশাকের সদস্যরা সব জায়গায় থাকবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আনসার বাহিনী ও ভলান্টিয়াররা রয়েছে। তারা ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে।
আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। যাতে করে যেকেউ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারবেন।