প্রকাশ: রোববার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৭:৩৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সীমান্তে বেড়েছে লাশের সংখ্যা। হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তাই ভারতীয় বাহিনীরা আরও আক্রমণাত্মক হয়েছে, সীমান্তে ফেলানীর মত স্বর্ণা দাসকেও নির্মমভাবে হত্যা করেছে বিএসএফ। তারা দুইধর্মের হলেও তারা দুজনই বাংলাদেশের নাগরিক। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিন্দু নাকি মুসলমান তা দেখে সীমান্তে গুলি করে না, সীমান্তে তাদের মূল টার্গেটই হলো বাংলাদেশীরা,বাংলাদেশের মানুষ। তাদেরকে হত্যা করা, দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়াই হচ্ছে ভারতের মূল টার্গেট।
রবিবার (৬ অক্টোবর) মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের খাকটেখা কালনীগড় বাজারে বিএসএফের গুলিতে নিহত স্বর্ণা দাসের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে পথসভায় তিনি এসবকথা বলেন।
তিনি বলেন, আবু সাইদ,স্বর্ণা দাসের মত যারা গণতন্ত্র ও দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন তাঁদের আত্বত্যাগ আমাদের স্বরণ রাখতে হবে, এই সরকারের প্রতি আমাদেরও আস্থা আছে, তবে গণতন্ত্রের চর্চা কে সামনে রেখে দ্রুত নির্বাচন দেওয়া উচিত।
রিজভী বলেন, স্বৈরাচার হাসিনার নির্দেশে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর কারাগারে রাখা হয়েছে, তারপরও তিনি স্বৈরাচারী সরকারের কাছে মাথা নত করেননি, আমরা সেই নেত্রীর দল করি। আমরা সেই নেতার দল করি যে নেতা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, একটি জাতিকে একটি দেশ এনে দিয়েছেন। বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব কাতারের রাষ্ট্রদূত ছিলেন, তখন যারা বিএনপি করতো তাদের পাসপোর্ট রিনিউ তিনি করতেননা। এই বিতর্কিত রাষ্ট্রদূতের কারণেই অনেক বাংলাদেশিকে দেশে ফিরতে হয়েছে, সে তো স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার এজেন্ট, সে কিভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরর সচিব হয় - এমন প্রশ্ন রিজভীর।
কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির উপদেষ্টা শরিফুল হক সাজুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আলমগীর কবীর, আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু।
এ সময় আমরা বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে বিএসএফের গুলিতে নিহত স্বর্ণা দাসের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।