দেশে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আট মাসে বজ্রপাতে মোট ২৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এই আট মাসে আহত হয়েছেন ৭৩ জন। নিহতদের মধ্যে ২৪২ জনই পুরুষ।
আর আট মাসের মধ্যে মে মাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন বলে জানিয়েছে সেভ দ্যা সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম।
শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর তোপখানা রোডে সংগঠনটির কার্যালয়ে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সংগঠনটি জানায়, গত ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে বজ্রপাতে ২৯৭ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৭৩ জন। নিহতদের মধ্যে ১১ শিশু, ৫৫ জন নারী রয়েছে। নারীর মধ্যে ৬ জন কিশোরী। মোট মৃত্যুর মধ্যে ২৪২ জনই পুরুষ। পুরুষের মধ্যে কিশোর ১৭ জন।
সংগঠনটির তথ্য মতে, ফেব্রুয়ারিতে বজ্রপাতে মারা গেছে একজন। মার্চ মাসে মারা হয়েছে ৯ জন। এর মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও একজন নারী। মার্চে আহত হয়েছেন ৬ জন। এর মধ্যে ৬ জনই পুরুষ। এপ্রিল মাসে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১১ নারী, এক শিশু এবং দুইজন কিশোরী রয়েছে। এপ্রিলে আহত হয়েছেন একজন পুরুষ।
মে মাসে মৃত্যু হয়েছে ৯৬ জনের। এর মধ্যে পুরুষ ৭৯ জন, নারী ১৭, শিশু ২ এবং কিশোর ২ ও কিশোরী একজন। মে মাসে ২৮ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে পুরুষ ২৩ ও নারী পাঁচজন। জুন মাসে মৃত্যু হয়েছে ৭৭ জনের। এর মধ্যে পুরুষ ৬১ জন, নারী ১৬ জন, শিশু ৫, পুরুষের মধ্যে কিশোর রয়েছে ৭ জন। এ মাসে আহত হয়েছেন ১৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ ও নারী ২ জন।
জুলাই মাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। এর মধ্যে নারী ১ এবং ১৮ জন পুরুষ। আহত হয়েছেন ১০ জন। এর মধ্যে একজন নারী এবং ৯ জন পুরুষ রয়েছে।
আগস্টে বজ্রপাতে মোট ১৭ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে তিনজন নারী ও ১৪ জন পুরুষ। এর মধ্যে ১ শিশু, ১ কিশোর ও ১ কিশোরী। এছাড়া এ মাসে আহত হয়েছেন দুইজন পুরুষ।
সেপ্টেম্বর মাসে বজ্রপাতে মোট ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪১ জন পুরুষ ও ৬ নারী। নারী ও পুরুষের মধ্যে ২ শিশু রয়েছে। পুরুষের মধ্যে ৪ জন কিশোর ও নারীর মধ্যে ২ কিশোরী রয়েছে। এ মাসে আহত হয়েছেন ১২ জন। এর মধ্যে ১০ পুরুষ ও ২ জন নারী রয়েছে।
কোন জেলায় কত নিহত
এ বছর সবচেয়ে বেশি ১৩ জন মারা গেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। এছাড়া ফেনীতে ১২, কক্সবাজারে ১০, জয়পুরহাটে ১৩, হবিগঞ্জে ১৩ এবং গাইবান্ধায় ১০ জন মারা গেছেন। ধান কাটা, ঘাস কাটা, গরু আনা ও নানা কৃষিকাজের সময় বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আট মাসে শুধু কৃষি কাজের সময় বজ্রপাতে ১৫২ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু গরু আনতে গিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া মাছ ধরার সময় ৫২ জেলের মৃত্যু হয়েছে। আম কুড়ানোর সময় ১১ জন, ফাঁকা রাস্তায় চলাচলের সময় ১৫, ঘরে থাকাকালীন ২৭, পাথর উত্তোলনের সময় ৩, বাড়ির আঙ্গিনায় খেলার সময় ১৪ শিশু-কিশোর ও গাড়িতে থাকাকালীন একজনের মৃত্যু হয়েছে।