প্রকাশ: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:২১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সবশেষ গোয়ালিয়রে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছিল ২০১০ সালে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই ওয়ানডে ম্যাচে পুরুষদের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। এরপর পেরিয়ে গেছে ১৪ বছর, আর মাঠে গড়ায়নি আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
আগামী ৬ অক্টোবর হতে চলেছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রথমটি শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া স্টেডিয়ামে হবে। উপলক্ষটিকে স্মরণীয় করে রাখতে তৎপর গোয়ালিয়রের রাজ পরিবার। মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিশেষ পরিকল্পনা তদারকিতে থাকছে তাদের সংশ্লিষ্টতা।
ভারতের ঐতিহাসিক শহরটি দূর্গ, রাজপ্রাসাদ আর স্থাপত্যশৈলীর সংমিশ্রণে এক ঐতিহ্যের নগরী। ম্যাচটিতে গোয়ালিয়রের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা থাকবে। খেলা শুরুর আগে রাখা হয়েছে কনসার্টের ব্যবস্থা। দেশটির জনপ্রিয় শিল্পীর পাশাপাশি স্থানীয় পারফর্মাররাও এতে অংশ নেবেন। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ডিজে ও লাইট শো।
গোয়ালিয়রের যুবরাজ মহানারিয়ামান রাও সিন্ধিয়া বলেন, ‘১৪ বছর পর এখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হবে। আমরা সবাই রোমাঞ্চিত। সবাইকে খুশি করার জন্য যা যা, করণীয় সবই চেষ্টা করবো। ম্যাচের আগে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবো। তবে সবকিছু বিসিসিআইয়ের অনুমতির উপর নির্ভর করবে।’
যুবরাজ মহানারিয়ামান রাও সিন্ধিয়া দুই দলের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজনের কথাও জানান। গোয়ালিয়রের সুস্বাদু খাবার আর সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে ভারত ও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অনুরোধও করেন।
‘অবশ্যই দুই দলের জন্য বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করতে যাচ্ছি। আশা করবো, গোয়ালিয়র আর মারাঠাদের খাবার তাদের ভালো লাগবে। অনুশীলন শেষে বিশেষ নৈশভোজেরটি তাদের ক্লান্তি দূর করবে।’
ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৩০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া স্টেডিয়ামে দর্শকের ঢল নামবে। তাদের জন্য বিনামূল্যে পানি ও সেলফি বুথসহ থাকবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।