বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা হলো, আওয়ামী লীগ যেন আবার ক্ষমতায় এসে মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করতে না পারে। আজ আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, এই ষড়যন্ত্র রুখতে হবে। সেটা না হলে ক্ষতি হবে জনগণের।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাগ্রত বাংলাদেশ আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। ‘জনপ্রশাসনে শেখ হাসিনার নিয়োগপ্রাপ্ত বিতর্কিত আমলাদের অপসারণের’ দাবিতে ওই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশের আন্দোলনরত সব দলের সঙ্গে আপনি কথা বলা শুরু করেছেন, অভিনন্দন আপনাকে। নিউইয়র্কের মাটিতে বাংলাদেশের কথা তুলে ধরেছেন, আবু সাঈদের কথা তুলে ধরেছেন, ছাত্রদের আন্দোলনের কথা তুলে ধরেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’
তিনি বলেন, ‘আপনার কাছে প্রত্যাশা, শেখ হাসিনাকে দেশে আনতে হবে। শেখ হাসিনা অবিচার করেছে, বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যারা তারেক রহমানকে বিনা কারণে সাজা দিয়েছে, খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে তারা এখনও বহাল তবিয়তে হাইকোর্টে আছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বলবো, এসব ঘাপটি মারা লোকদের বের করে দেন। না হলে আপনারা শান্তিতে আরেকটি নির্বাচন দিতে পারবেন না। তারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে, এটা জনগণের ভাষ্য।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তারেক রহমান বলে দিয়েছেন, এই বিপ্লবী সরকারকে আমরা সমর্থন দেবো। এই সরকারের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সরকারের বিরুদ্ধে যেন কেউ কথা বলতে না পারে সেই দিকে বিএনপির নজর রাখতে হবে। আমরা নজর রাখছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ড. ইউনূসের জন্য দোয়া করি, তিনি যেন বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচন উপহার দেন যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমাদের নেতা তারেক রহমান বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে পারবেন। যে ক্ষমতায় মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারবে। গণতন্ত্র অটুট থাকবে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকবে। বাংলাদেশের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বাধীনতা থাকবে।’
জাগ্রত বাংলাদেশের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম কলিমের সভাপতিত্বে এ সময় আরও ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম প্রমুখ।