প্রকাশ: বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:৪৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় খাগড়াছড়িতে আজও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও পৌর এলাকায় জারি করা অনির্দিষ্টকালের ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) শহরের পানখাইয়াপাড়া সড়ক ও মহাজনপাড়ায় অন্তত ১৫টির মতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করা হয়। এগুলোর বেশির ভাগই কাপড়, বিউটিপার্লার, খাবারের দোকান।
এছাড়া একটি প্রাইভেট হাসপাতালও ভাঙচুরের শিকার হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই পাহাড়ি ও রাখাইন মালিকানাধীন।
এদিকে আজ সকাল থেকে সীমিতসংখ্যক দুরপাল্লার গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ সড়কে খুব কম যানবাহন চলাচল করছে। পরিস্থিতি উত্তোরণে সেনাবাহিনীর টহলের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর বিষয়টি পাহাড়ি-বাঙ্গালীদের সংঘাতে রূপ নিলে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা প্রতিষ্ঠানের বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন ও সেফটি বিভাগের ইন্সট্রাক্টর ছিলেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায়।
এরআগেও ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে জেল খাটতে হয়েছিল। অবশ্য সেই মামলায় খালাস পান তিনি।