প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকার সাভারে হত্যা মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার সময় হাতেনাতে রাতুল ইসলাম রামিম নামে (২৬) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জীবন রহমান (২৮) নামে অভিযুক্ত অপর এক ছাত্রলীগ নেতা পলাতক রয়েছে।
তারা দুজনেই জুলাই আন্দোলনে গণহত্যার মামলার আসামী ও সাভার উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের ঘনিষ্ঠ অনুসারী।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাভার থানা রোড এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগীর দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া রাতুল ইসলাম রামিম (২৬) সাভার পৌরসভার গেন্ডা এলাকার বাসিন্দা এবং সাভার সিটি সেন্টার শপিং কমপ্লেক্সের দর্জিবাড়ি নামের একটি ফ্যশন হাউজের ম্যানেজার পদে কর্মরত। আর অপর অভিযুক্ত জীবন রহমান (২৮) সাভারের উত্তরপাড়া এলাকার মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে এবং সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা যায়,সাভারের দেওগাঁ এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে দিলসাদ হোসেনের শ্যালক জাহাঙ্গীর আলম ইমনকে (২৫) গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে অভিযুক্ত রাতুল ইসলাম রামিম ফোন করে দেখা করতে চায়।
পরে তারা সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকার রাজ্জাক বাজারের সামনে দেখা করলে অভিযুক্ত রামিম জানায় দিলসাদ এবং তার শ্যালক ইমনকে ছাত্রলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাজিয়ে অপর অভিযুক্ত জীবনের সহযোগিতায় গত জুলাই ও আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতা গণহত্যার মামলায় আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করবে। যদি আমরা তাদের ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দেই তাহলে আমাদের দুজনের নাম মামলার এজাহার থেকে কেটে দেওয়া হবে। ইতোপূর্বেও তারা এক পাবলিক রাইটারের সহযোগিতায় একাধিক মামলায় বিভিন্ন জনকে আসামি করেছে ও অনেকের নাম মামলার এজাহার থেকে বাদ দিয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
এদিকে, মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবির কথোপকথনের একাধিক অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
মামলার বাদী দিলসাদ জানান, অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করেছে।
সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিয়া জানান, ভুক্তভোগী যুবকের দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত রামিমকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি জীবন নামে অপর অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।