বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪ ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম   নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা   সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ৭ কর্মসূচি ঘোষণা   গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা করার করবো ইনশাআল্লাহ্: নতুন সিইসি   ডেঙ্গুতে আরও ৯ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১২১৪   জ্বালানি তেলের মূল্য ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব: সিপিডি   প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
রাজাপুরে স্কুলের ভবন ও শিক্ষক থাকলেও নেই শিক্ষার্থী!
রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৫২ পিএম আপডেট: ০২.১০.২০২৪ ১২:২৯ এএম | অনলাইন সংস্করণ

ঝালকাঠির রাজাপুরে ১২১ নং নিজ গালুয়া মরহুম ফজলুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ও শিক্ষক থাকলেও নেই শিক্ষার্থী।

সরজমিনে দেখা যায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত নেই একজনও শিক্ষার্থী। অফিস কক্ষে গল্পে  মশগুল ৫ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। স্থানীয়রা জানায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শুধু কাগজপত্রেই আছে বাস্তবে এটাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলে মনে হয় না কারন এখানে শিক্ষক আছে তবে তেমন কোন শিক্ষার্থী নেই। প্রতিদিন শিক্ষকরা সকালে স্কুলে এসে হাজির দেয় এরপর ছুটির সময় শেষ হওয়ার আগেই বাড়িতে চলে যায়। স্কুলে অডিটের সময় পার্শ্ববর্তী সিরাতুন নবী (সঃ) মডেল মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থীদের এনে এই স্কুলের শিক্ষার্থী দাবি করে দেখানো হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজিস্ট্রার ও কাগজপত্রে ৫১ জন দাবি করলেও শ্রেনীকক্ষের হাজিরা খাতায় ৫৪ জনের নাম পাওয়া যায়। তবে নিয়মিত হাতে গোনা ৩ থেকে ৫ জন শিক্ষার্থী ক্লাসে আসলেও প্রতিদিন হাজিরা খাতায় উপবৃত্তি’র জন্য শতভাগ উপস্থিতি দেখানো হয়।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোসা ঃ ফাতিমা বেগম বলেন, প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কম তবে নিয়মিত ৩ থেকে ৫ জন শিক্ষার্থী আসে। কিন্তু হাজিরা খাতায় উপবৃত্তির ক্ষেত্রে সবাইকে উপস্থিতি দেখানো হয়। তবে কেনো দেখানো হয় সেটা তিনি জানেন না। উপবৃত্তি দিলেও তারা কেন স্কুলে আসে না এবং ৩০ তারিখে হাজিরা খাতায় কেন হাজিরা নেওয়া হলো না এমন প্রশ্নে তনি বলেন, আমারা শিক্ষার্থীদের টিফিনের বিরতিতে অফিস কক্ষে বসে হাজিরা দিয়ে দেই। আজকে কোন শিক্ষার্থী না থাকায় হাজিরা নেওয়া হয়নি। ওরা নূরানী মাদ্রাসায় যায় , আমরা তো ওদের জোর করতে পারি না।

এ বিষয়ে সিরাতুন নবী (সঃ) মডেল মাদ্রাসা ও এতিম খানার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ১২১ নং নিজ গালুয়া মরহুম ফজলুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী আমার মাদ্রাসায় পড়ে না বরং যখন ঐ স্কুলে অডিট আসে তখন আমার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের স্কুলের শিক্ষার্থী বলে কর্তৃপক্ষকে দেখানো হয়।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজম খান ক্যামেরার সামনে ভিডিও বক্তব্য দিতে রাজি না হয়ে জানান, স্কুলে শিক্ষার্থী না থাকলে নাই অসুবিদা কি ? আমরা তো আর কোথাও নিয়ে রাখি নাই। স্কুলের শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী নূরানী মাদ্রাসায় পড়ে। যার জন্য স্কুলে আসে নায়। তার স্কুলের শিক্ষার্থীরা কেন নূরানী মাদ্রাসায় পড়ে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন আরবি পড়ার জন্য ওই মাদ্রাসায় যায়।

রাজাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো.আক্তার হোসেন ওই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কম থাকার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, এরকম উপজেলায় ৩ থেকে ৪ টা স্কুল রয়েছে। আমরা বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠান বন্ধের জন্য সুপারিশ করা হবে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]