প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
কানপুর টেস্টের পঞ্চম দিনের শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। ওপেনার সাদমান ইসলামের ব্যাটে রানের চাকা সচল রেখেছিল টাইগাররা। তবে হঠাৎ ছন্দ পতনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছেন টাইগাররা। ৯৪ রানেই হারিয়েছে ৭ উইকেট।
চতুর্থ দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার মুমিনুল হক ও সাদমান ব্যাট করতে নামেন পঞ্চম দিনে। শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল। দলীয় ৩৬ রানে ৮ বলে ২ রান করে আউট হন তিনি।
এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন সাদমান। ভারতীয় বোলারদের সামলে রানের চাকা সচল রাখেন তিনি। তবে দলীয় ৯১ রানে ৩৭ বলে ১৯ রানে আউট হন শান্ত।
তার বিদায়ের পর ৬৭ বলে ফিফটি তুলে নেন সাদমান। ফিফটির পর পরই আউট হন এই টাইগার ওপেনার। ১০১ বলে ৫০ রানে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
এরপর দ্রুতই আরও জোড়া উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। লিটন দাস ১ ও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। ৩৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
দিনের তৃতীয় ওভারে ধাক্কা খাওয়ার আগে অবশ্য বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ভালোর ইঙ্গিত। দ্বিতীয় ইনিংসে পঞ্চম দিনের শুরুর বলেই রান নিয়েছিলেন মুমিনুল। সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে এসেছিল বাউন্ডারি। পরের ওভারে জাসপ্রীত বুমরাহর ওভার থেকেও এসেছে ৫ রান। সেখানেও ছিল সাদমানের বাউন্ডারি।
এরপরেই টাইগার ইনিংসে আঘাত হানেন অশ্বিন। । আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মুমিনুল বাড়ালেন দলের বিপদ। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলটা ছিল অনেকটাই বাইরে। সেঞ্চুরির পথে মুমিনুল খেলেছিলেন অনেকগুলো সুইপ শট। সেই পথেই পা বাড়ালেন এবারেও। কিন্তু ভারত ছিল প্রস্তুত। লেগ স্লিপে কেএল রাহুল নিয়েছেন সহজ ক্যাচ। প্রথম দুই ওভারে দশ রান তোলার পরেই আউট হলেন মুমিনুল।
শান্ত-সাদমান জুটিতে অনেকটা পথ এগিয়েছিল বাংলাদেশ। দুজনের জুটি অবশ্য ৫০ পেরুবার পরেই আসে আঘাত। সাদমানের সঙ্গে গড়েছিলেন ৫৫ রানের জুটি। এমন পরিস্থিতিতে জাদেজার বলে রিভার্স সুইপ খেলতে চাইলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ব্যাটে বলে হয়নি, বল আঘাত করল স্টাম্পে। খানিক পরেই চলে গেলেন সাদমানও।
আকাশ দীপের বলে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে শট খেলতে গিয়ে জয়সওয়ালের হাতে ক্যাচ দেন সাদমান। লিটন এসেছিলেন। ১ রানের বেশি করা হয়নি তারও।