লালমনিরহাটের আদিতমারী ও হাতীবান্ধা উপজেলায় ৪টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ৩টি ও আদিতমারী উপজেলায় ১টি সম্প্রতি বন্যায় পানি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অপরদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ১২টি, আদিতমারী উপজেলায় ৮টি ও হাতীবান্ধা উপজেলায় ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্প্রতি বন্যায় পানি ঢুকে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা শিক্ষা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এই আদেশ জারি করে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন দপ্তর।
রোববার থেকে পাঠদান বন্ধ থাকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো হলো লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি বি এল উচ্চ বিদ্যালয়, কালমাটি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, খোলাহাটি উচ্চ বিদ্যালয় ও আদিতমারী উপজেলার গোবর্দ্ধন হায়দারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়।
পাঠদান বন্ধ থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো হলো লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধুরাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিণচড়া আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১নং হরিণচড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর গোকুন্ডা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২নং হরিণচড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিণচড়া কুটিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রতিপুর মন্ডলপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিস্তা কেআর খাদেম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিস্তা মাদ্রাসা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাংড়া আবাসন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাজী জফুর উদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও
কালমাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
আদিতমারী উপজেলার গোবর্দ্ধন প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহাদুরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবর্দ্ধন ইসমাইলপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবর্দ্ধন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আদর্শপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবর্দ্ধনহাট ইসমাইলপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মর্নিয়ারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বারঘড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম হলদীবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইতিমধ্যে কিছু কিছু বিদ্যালয় থেকে পানি নেমে যেতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় বলেন, বন্যার কারণে জেলায় ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এসব এলাকায় পানি নেমে গেলে পুনরায় পাঠদান চালু হবে।
লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মজিবুর রহমান বলেন, গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। জেলার ৪টি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। তবে পানি নেমে যাওয়ায় পাঠদান শুরু করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ তথ্য মতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা একেবারেই কমে গেছে। সেক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি সামনে আর পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে পানি কমার সঙ্গে নদী ভাঙন দেখা দেয়। এজন্য আমরা জরুরি আপদকালীন ভাঙন রোধে জিও ব্যাগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।