বিএনপির প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সহ-সম্পাদক এবং শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম পরিচালনা পরিষদের আহ্বায়ক অপর্ণা রায় বলেছেন, শারদীয় দুর্গোৎসব সমাজকে অসহিষ্ণুতা, হিংসা, বিদ্বেষ ও দ্বন্দ্ব-সংঘাতের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত করে মানুষের মধ্যে ঐক্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহমর্মিতা প্রতিষ্ঠা করে। ঐক্যবদ্ধ করে সমগ্র বাঙালিকে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম পরিচালনা পরিষদের নেতাদের সঙ্গে রমনা পুলিশের এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় পুলিশের রমনা জোনের ডিসি সারোয়ার জাহানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব সুভাষ চন্দ্র দাস, শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম পরিচালনা পরিষদের সদস্য সচিব বিশ্বজিৎ ভদ্র, রাম পাল, বিনয় ভক্ত, মিহির বিশ্বাস, দীপ্ত মিত্র ও মিঠুন সরকারসহ পূজা উদযাপন কমিটির অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন পূজা কমিটির অন্যতম নেতা দীপ্ত মিত্র।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িকতার এক অপূর্ব নজির স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। জাতীয়তাবাদ চেতনায় এবং শান্তির প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে নির্বিঘ্নে সব ধর্মের, সব বর্ণের, সব গোষ্ঠীর মানুষ সাড়ম্বরে পালন করে প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব।
তিনি আরও বলেন, শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দিরে উৎসবের আনন্দে প্রাণের সঞ্চার হয়। এখানে বোঝা যায় না কে কোন জাতির। অন্য সম্প্রদায়ের উপস্থিতিও লক্ষ করা যায়। পূজার শুরু থেকে বিসর্জন পর্যন্ত সব আয়োজনে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব মানুষের উপস্থিতি লক্ষণীয়।
শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম পরিচালনা পরিষদের অন্যতম নেতা রাম পাল বলেন, শারদীয় উৎসব মায়াবী বন্ধনে জড়িয়ে রাখে সব বাঙালিকে। উদ্বুদ্ধ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হতে।
শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রীমা আনন্দময়ী আশ্রম পরিচালনা পরিষদের সদস্য সচিব বিশ্বজিৎ ভদ্র বলেন, উৎসব ঘিরে এই আনন্দঘন পরিবেশ এবং মিলন বিশ্বে বিরল। এটা এক অপূর্ব দৃশ্য।
রমনা জোনের ডিসি সারোয়ার জাহান বলেন, সম্প্রীতি আমাদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। বাংলাদেশ জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করে নানা ধর্মের, নানা বর্ণের মানুষ একসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্যের বন্ধন সুদৃঢ় করে এবারের শারদীয় উৎসব সফল করতে হবে।