প্রকাশ: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:২২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বসনিয়া থেকে শুরু করে কঙ্গো পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে ১৬৮ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর জীবন বিসর্জন দিয়েছেন উল্লেখ করে ভবিষ্যৎ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশকে আরও সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।
এ ছাড়া শান্তিতে নোবেলবিজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৪৩ দেশে ৬৩টি মিশনে শান্তিরক্ষী প্রেরণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ মনে করে যে, শান্তিরক্ষা এবং সংঘাত মোকাবিলা জনগণের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার মূল চালিকাশক্তি। সাম্প্রতিক বিপ্লবকালে জনগণের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা পূরণে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে আরও একবার শান্তির প্রতি নিজেদের অঙ্গীকার প্রমাণ করেছে সশস্ত্র বাহিনী। এটা সম্ভব হয়েছে শান্তিরক্ষায় আমাদের অঙ্গীকারের কেন্দ্রবিন্দুতে মানবাধিকারকে স্থান দেওয়ার ফলে।
তা ছাড়া তিনি বলেন, জাতিসংঘের শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের সূচনালগ্ন থেকেই শান্তিরক্ষার মতো শান্তি বিনির্মাণেও বাংলাদেশ সমান অঙ্গীকার ব্যক্ত করে এসেছে। সামনের দিনগুলোতেও আমরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আমাদের মূল্যবোধ ভিত্তিক অবদানের ধারাবাহিকতা রক্ষা সমুন্নত ও প্রসারিত করতে বদ্ধপরিকর।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অবদানকারী চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৪৩ দেশে ৬৩টি মিশনে শান্তিরক্ষী প্রেরণ করেছে। বসনিয়া থেকে শুরু করে কঙ্গো পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এসব মিশনে দায়িত্ব পালনকালে ১৬৮ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি, যেকোনো অবস্থায় নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও জাতিসংঘের ভবিষ্যৎ শান্তিরক্ষী কার্যক্রমগুলোতে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা একইভাবে অবদান রাখার সুযোগ পাবেন।