রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তিতে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব   সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেয়ার সময় বাড়লো   জেদ্দায় চলছে আইপিএলের মেগা নিলাম   ‘ভুল চিকিৎসায়’ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, ন্যাশনাল মেডিকেলে ভাঙচুর   জিএসপি পেতে ১১ দফা বাস্তবায়নের তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের   মাত্র ৩ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে খুলনা, উদ্বোধন ১ ডিসেম্বর   ‘না ভোট’সহ ইলিয়াস কাঞ্চনের ৩ প্রস্তাব   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বাংলাদেশে হাসিনা পালিয়ে গেলেও এখনো সংকট কাটেনি: মির্জা ফখরুল
আসাদুল্লাহ মাসুম, কাপাসিয়া(গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:০৩ এএম | অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশে হাসিনা পালিয় গেলেও এখনো সংকট কাটেনি। যেই সরকার এসেছে, এটা অন্তবর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রধান নোভেল পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ তাকে ভালোবাসে।বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। মানুষ বিশ্বাস করে, একটি অবাদ সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে একটি পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে।সেই পার্লামেন্টের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হবে।তারাও কমিটেড। আমরা বিশ্বাস করি তাদের কথায়।যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। 

শুক্রবার বিকাল ৫ টায় ব্রি: জে: (অব:) হান্নান শাহ্ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক স্মরণ সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। 

সভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, দীর্ঘ ১৭/১৮ বছর ধরে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধংস করে দিয়েছে। গণতান্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠান গুলো ধংস করে দিয়েছে।  নির্বাচন ব্যবস্থা বলতে কিছুই ছিলোনা।জাতীয় সংসদ নির্বাচন বলুন, উপজেলা নির্বাচন বলুন,  ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কিছু হয়নি। তারা তাদের প্রার্থীদেরকে নির্বাচিত করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেছে। ব্যবহার করেছে পুলিশ প্রসাশনকে।শুধু তাই নয় ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কুক্ষিগত করে রেখেছে। গত ১৮ বছর বাংলাদেশে দুর্নীতির নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।শেখ হাসিনার সরকার সারা জীবন ক্ষমতায় থাকবে বলে মানুষকে নিপিড়ন নির্যাতন করে ক্ষমতায় থাকবে আর সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলবে। আজকে খবরের কাগজ খুললেই দেখবেন আওয়ামী লোকজন কত টাকা চুরি করেছে, কত টাকা বিদেশে পাঠিয়েছে, তার ফিরিস্তি দেখতে পান।একটার পর একটা মন্ত্রী ধরা পড়ছে। আল্লাহর কি বিধান, যারা একদিন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছিলো, তারাই আজকে দুর্নীতির দায়ে,চুরির দায়ে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় পাঠিয়েছে। শেখ হাসিনা বড় গলায় বলেছিলেন, আমি শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে আমি পালাতে জানিনা, সেই শেখ হাসিনা ছাত্র জনতার উত্তাল তরঙ্গে অতি দ্রুত গণভবন থেকে হেলিকপ্টারে পালিয়ে গেছে। 

তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে আমাদের প্রায় ১০০০ হাজার লোককে গুম করে ফেলেছে। হাজার হাজার লোককে গুলি হত্যা করা হয়েছে।৬০ লক্ষ লোককে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এই এলাকা লোকজনকে জেলে গেছে। রাতে ঘুমাতে পারেনি।কোর্টে যায়, হাজিরা দেয়, পুলিশ টাকা চায়, টাকা না দিতে পারলে ধরে নিয়ে যায়, মামলা দেয়। 

পরে তিনি হান্নান শাহ এর সাথে জেলে থাকার স্মৃতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, হান্নান শাহ ছিলেন সত্যিকার গনতান্ত্রিক মানুষ।সেনাবাহিনীর পোষাক ছিলো। ব্রিগেডিয়ার ছিলেন। মনের দিক দিয়ে ছিলেন গনতান্ত্রিক। দেশ নেত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে তিনি অত্যন্ত পরিশ্রম করেছেন। 

তিনি বলেন, হিন্দু ভাইদের পূজা আসছে। এসব কেন্দ্র করে তারা অস্থিশিল অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে।আমি হিন্দু ভাইদের বলবো,আমরা আপনাদের পাশে আছি।পূজার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে পারি, দেশের সকল মানুষ আপনাদের পাশে থাকবে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশে হাসিনা পালিয়ে গেলেও এখনো সংকট কাটেনি।যেই সরকার এসেছে, এটা অন্তবর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের প্রধান নোভেল পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ তাকে ভালোবাসে।বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে। মানুষ বিশ্বাস করে, একটি অবাদ সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে একটি পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে।সেই পার্লামেন্টের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হবে।তারাও কমিটেড। আমরা বিশ্বাস করি তাদের কথায়, যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। 

বিএনপি নেতা ফজলুল হক মিলন বলেন, আজ যারা সরকারে আপনাদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, আজকে এই নির্দলীয় সরকারের কাছে আমানত রেখেছি, অসংখ্য প্রানের বিনিময়ে অর্জিত ফসল আপনাদের কাছে আামানত হিসেবে রেখেছে, এটা যেন খেয়ানত না হয়। আমরা শীঘ্রই জনগনের সরকারের আশা করছি। 

বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান রতন বলেন,শেখ হাসিনা তার কৃত কলাপের জন্য আওয়ামীলীগের নাম মুছে ফেলেছে। এই দেশে আওয়ামী লিগ করতে গিয়ে তাজ উদ্দীন আহমদ আওয়ামীলীগ করতে পারেনি। 

বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান রতন,রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, বেনজির আহমেদ টিটু, বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক এম এ কাইয়ুম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিএনপির সভাপতি শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ,উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://dailyvorerpata.com/ad/af.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]