প্রকাশ: শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪:২০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্ম ৬ লাখ ৯২ হাজার ৪৮ ডলার রেকর্ডমূল্যে বিক্রি হয়েছে। কোনো বাংলাদেশি শিল্পীর চিত্রকর্মের দামের দিক থেকে এটি একটি রেকর্ড।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের বিখ্যাত নিলাম সংস্থা সদেবি’স আয়োজিত ‘মডার্ন অ্যান্ড কন্টেম্পোরারি সাউথ এশিয়ান আর্ট’ শিরোনামের নিলামে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ‘নামহীন’ চিত্রকর্মটি ৫ লাখ ১৬ হাজার পাউন্ডে (৬ লাখ ৯২ হাজার ৪৮ ডলার) বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থ প্রায় ৮ কোটি ২৫ লাখ টাকার সমান।
এই চিত্রকর্মটি শিল্পী জয়নুল আবেদিনের পক্ষ থেকে চেদোমিল প্লাজেককে উপহার দেওয়া হয়েছিল। বর্ণনা অনুযায়ী, এটি কাগজের ওপর কালির আঁচড়ে আঁকা এবং নিচের ডানদিকে ‘জয়নুল/১৯৭০’ স্বাক্ষর ও তারিখযুক্ত। এটি ১৯৭০ সালে আঁকা হয়েছিল।
সদেবি’স-এর তথ্য অনুযায়ী, প্লাজেক ছিলেন একজন হাইড্রোজোলজিস্ট এবং জাতিসংঘের জিওথেনিকা যুগোস্লাভিয়ার প্রতিনিধি। তিনি কর্মসূত্রে ঢাকায় থাকতেন এবং বহু বছর ধরে জাতিসংঘের ভূগর্ভস্থ পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করেছেন। বাংলাদেশে থাকাকালীন জয়নুল আবেদিনের সাথে তার বন্ধুত্ব হয়।
প্রায় ৩০০ বছর আগে লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমানে নিউইয়র্কে সদর দপ্তর থাকা সদেবি সম্প্রতি এই নিলামের আয়োজন করে। যেখানে রেকর্ড দামে এসব চিত্রকর্ম বিক্রি হয়েছে।
নিলামের ফলাফল থেকে জানা যায়, জয়নুল আবেদিনের আরেকটি চিত্রকর্ম ‘নামহীন (মাল্টিপল ফিগার)’ রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে। এটিও শিল্পীর পক্ষ থেকে চেদোমিল প্লাজেককে উপহার দেওয়া হয়েছিল এবং ৪ লাখ ৮০ হাজার পাউন্ডে (৬ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯০ ডলার) বিক্রি হয়েছে, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৭.৬৯ কোটি টাকা।
এই চিত্রকর্মটি তেলরঙে ক্যানভাসে আঁকা, নিচের ডানদিকে ‘জয়নুল/ ৭১’ স্বাক্ষর ও তারিখ রয়েছে এবং এটি ১৯৭১ সালে আঁকা হয়।
আরেকটি চিত্রকর্ম ‘নামহীন (ফিগারস)’ ২ লাখ ১৬ হাজার পাউন্ডে (২ লাখ ৮৯ হাজার ৬৬৩ ডলার) বিক্রি হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩.৪৬ কোটি টাকার সমান।
এর আগে, এ বছরের মার্চে নিউইয়র্কে সদেবি’স-এর আয়োজিত ‘মডার্ন অ্যান্ড কনটেম্পোরারি সাউথ এশিয়ান আর্ট’ শীর্ষক আরেকটি নিলামে আধুনিক ও সমসাময়িক দক্ষিণ এশীয় শিল্পীদের চিত্রকর্মের মধ্যে শিল্পাচার্যের ‘সাঁওতাল দম্পতি’ এবং ‘সিটিং লেডি’ (বসে থাকা এক নারীর তৈলচিত্র) শিরোনামের চিত্রকর্ম দুটি ৬ লাখ ৬০ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলারে (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সোয়া চার কোটি) বিক্রি হয়েছিল।