জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ৭৯তম এই অধিবেশনের ফাঁকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. ইউনূস।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে জাতিসংঘ সচিবালয়ে ওই বৈঠক হবে বলে জানা গেছে।
প্রধান উপদেষ্টার নির্ধারিত কর্মসূচিতে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। ইতোমধ্যে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে দুই দেশের সরকারপ্রধান বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকের বিষয়াদি নিয়ে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে সাম্প্রতিক নিয়োগের জন্য অভিনন্দন জানাতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। উভয় নেতা যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ অংশীদারত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, যার ভিত্তি পারস্পরিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জনগণের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধনে নিহিত। প্রেসিডেন্ট বাইডেন দুই সরকারের মধ্যে আরও সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বাংলাদেশে চলমান সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে মার্কিন সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন।’
এ ছাড়া জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাৎ হয়েছে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাসহ আরও অনেকের সঙ্গে।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই ইউনূসের প্রথম বিদেশ সফর।
কাতার এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে গত সোমবার ভোর ৫টায় ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীরা। দোহায় উড়োজাহাজ বদলে তারা নিউ ইয়র্কের জেএফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে।
ঢাকা ত্যাগের সময় প্রচলিত রেওয়াজ ভেঙে বিমানবন্দরে আড়ম্বরপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা এড়িয়ে গেছেন ইউনূস; সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গেই যাত্রা করেছেন নীরবে।
কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান জাতিসংঘের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ডিএম সালাউদ্দিন মাহমুদ।
বিমান বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধান উপদেষ্টা যান গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে। নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে এই হোটেলে তিনি ও তার সফর সঙ্গীরা থাকবেন।
তিন দিনের সফর শেষে ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার পথে রওনা হবেন প্রধান উপদেষ্টা।