জাতিসংঘের অধিবেশন শুরু, যোগ দিয়েছেন ড. ইউনূস
জাতিসংঘ অধিবেশনে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূস, ছবি : সংগৃহীত
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন শুরু হয়েছে। এতে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) অধিবেশন শুরুর পর স্বাগত ভাষণ দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচির অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বব্যাপী এমন এক চ্যাঞ্জেলের মুখে রয়েছি, যা আগে কখনও দেখিনি। বৈশ্বিকভাবেই এই চ্যাঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে। যুদ্ধ বেড়েই চলছে এবং তার শেষ হওয়ার কোনো উপায় দেখছি না।
শুরু হওয়া জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে বিশ্ব নেতারা এমন এক সময় জড়ো হচ্ছেন, যখন ইউরোপ, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত বেড়েই চলছে। এ ছাড়া রয়েছে গাজা যুদ্ধ এবং ইউক্রেন ও সুদানে সংঘাত। আশা করা হচ্ছে এ অধিবেশনে বিশ্ব নেতারা যুদ্ধ বন্ধে তাদের কণ্ঠ জোড়াল করবেন।
এদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনে যোগদান করায় শুভেচ্ছা জানিয়েছে জাতিসংঘ। প্রধান উপদেষ্টা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ সফর করছেন যখন বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করা ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস এক বার্তায় বলেন, এ বছর বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ায় আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
জানা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। জাতিসংঘে এটি তার চতুর্থ এবং শেষ ভাষণ। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এ ভাষণে বাইডেন বর্তমান বৈশ্বিক সংকট তুলে ধরবেন।
ইউএনজিএ’তে অংশগ্রহণ উপলক্ষে ড. ইউনূস এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশ সরকারের প্রধান হিসেবে এটি ড. ইউনূসের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর।
উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে। ২৪ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার উদ্বোধন হওয়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক (২৮ সেপ্টেম্বর) শনিবার পর্যন্ত চলবে। অধিবেশন শেষ হবে ৩০ সেপ্টেম্বর, সোমবার।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সম্মেলনের এবারের মূল প্রতিপাদ্য হলো- ‘কাউকে পেছনে না ফেলা: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক মর্যাদার অগ্রগতিতে একযোগে কাজ করা।’